পেশাগত দায়িত্ব পালনে দেশের বাইরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অনেকের যেমন ঈদ কাটে, তেমনি বাংলাদেশেও পেশাগত কাজে আসা অনেক বিদেশি ক্রীড়াবিদ ঈদ উদযাপন করেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চলমান। এই লিগে অংশ নিচ্ছেন নানা দেশের নানা ধর্মাবলম্বী ফুটবলার। বিদেশিদের মধ্যে রয়েছেন অনেক মুসলিম ফুটবলারও। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চলায় তারা এবার বাংলাদেশেই ঈদ করছেন। 

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের চারজন বিদেশি চার দেশের। জাপানি উরু নাগাতা বাদে বাকি ৩ জনই মুসলিম। দশদিনের ছুটি পাওয়ায় দেশি ফুটবলাররা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ কাটাতে গেছেন। তবে বিদেশি ফুটবলাররা ক্লাবেই আছেন।

আজ (শুক্রবার) সকালে মোহামেডানের কুলদিয়াতে, সলোমন ও ইয়ামেন বাফুফে ভবন সংলগ্ন আরামবাগ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ঈদের নামাজ শেষে ক্লাবে ফিরে নিজ দেশে পরিবার পরিজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর ক্লাব টেন্টেই বারবিকিউ করে ঈদ উদযাপন করছেন তারা। 

মোহামেডানের ক্যামেরুনের ফুটবলার ইয়েসিন বলেন, ‘আমাদের অধিনায়ক উরু অন্য ধর্মের হলেও আমরা সবাই এক সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন করছি। এটি ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা।’ 

কুলদেয়াতে ও ইয়েসিন এখনো বিয়ে করেননি। মালির সলোমনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। লিগে দেড় মাস বিরতি আর ক্লাবের ১০ দিনের ছুটির মধ্যে সলোমন দিয়াবাতে নিজ দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, ‘ছুটি থাকলেও ফ্লাইট, কোয়ারেন্টাইনের ঝামেলায় আর যাওয়া হলো না।’

শেখ জামালের গাম্বিয়ান সলোমন এই বছর খিস্ট্রান ধর্ম ছেড়ে থেকে মুসলিম হয়েছেন। তিনি আজ আবাহনী ক্লাবের পাশের এক মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নেন। শেখ জামাল, মোহামেডানের মতো প্রায় প্রতি ক্লাবের বিদেশি মুসলিম ফুটবলাররা এভাবেই ঈদ আনন্দ উদযাপন করছেন। 

১১ এপ্রিল প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগের চতুর্থ রাউন্ডের শেষ ম্যাচ ছিল। এখন প্রায় সব ক্লাবেই চলছে ঈদের ছুটি। মে মাসের শেষ দিকে আবার ক্লাবে অনুশীলন শুরু হবে৷ জাতীয় দলের খেলা শেষে জুনের শেষ সপ্তাহে লিগ আবার শুরু হবে। 

এজেড/টিআইএস