মুস্তাফিজুর রহমান/ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর রাতারাতি তারকা বনে যান মুস্তাফিজুর রহমান। নিখুঁত কাটার-স্লোয়ারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কুপোকাত করে বাজিমাত করেন তিনি। তবে ইনজুরি আর অফ ফর্মে পুরনো জৌলুশ হারাতে বসেছিলেন এই বাঁহাতি। এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আবার পুরনো রূপে ফেরার আভাস দিয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবে দেশের পেস বোলিং বিভাগের সেরা অস্ত্রের ছন্দে ফেরাতে খুশি গোটা বাংলাদেশ দল। এতে দলীয় অধিনায়কের খুশির মাত্রা দ্বিগুণ হওয়ার কথা। স্বস্তি পাচ্ছেন তামিম ইকবালও, তবে আরো বেশি প্রত্যাশা মুস্তাফিজের কাছে।

আজ (শুক্রবার) ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে তামিম বলেন, ‘আমরা খেলা দেখা আর আপনাদের (সাংবাদিক) খেলা দেখায় একটু ভিন্নতা আছে। পার্থক্যটা এভাবে, আমাদের একজন খেলোয়াড় ২, ৩, ৪, ৫টি ম্যাচ ভালো না করলে আমরা কোনো সময়ই মনে করি না সে শেষ হয়ে গেছে। অথবা এক-দুই ম্যাচ অসম্ভব ভালো খেললেও মনে করি না যে বিশ্বের সেরা হয়ে গেছে। আমার কাছে সবসময়ই মনে হতো মুস্তাফিজ আমাদের বড় অস্ত্র।’

সঙ্গে যোগ করেন তামিম, ‘যে ধরনের বোলিং আইপিএলে সে করেছে, এটা অনেক স্বস্তির ছিল। সবাই চাইব এমন বোলিং করুক। তবে আইপিএলে সে উইকেট থেকে সুবিধা পেয়েছিল। দ্বিধা নেই যে অনেক ভালো বোলিং করেছে। আশা রাখব বাংলাদেশের হয়েও সেই বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের চেয়ে লাভবান বেশি কেউ হবে না।’ 

শুধু মুস্তাফিজ নয়, সম্প্রতি তাসকিন আহমেদও বাইশ গজে যেভাবে দাপট দেখাচ্ছেন তাতে বোলারদের উপর আস্থা বাড়ছে গোটা দলের। সাকিব ফেরায় আত্মবিশ্বাসে পালে বাড়তি রসদ পাচ্ছেন অধিনায়ক।

তামিম বলেন, ‘প্রত্যাশা তো সবসময় বেশিই থাকবে। কারণ বোলাররা ভাল করুক এটাই চাই। বোলিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। কারণ অনেক সময় দেখা যায় খুব ভাল ব্যাটিং করেও বোলিং বাজে হয়ে ম্যাচ হারতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা খুব ভাল ব্যাটিং না করেও ভালো বোলিংয়ের কারণে ম্যাচ জিতে যাচ্ছি। তাই বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচে থাকা বোলার মিরাজকে নিয়েও উচ্ছ্বসিত তামিম, ‘ভাগ্যক্রমে গত সিরিজে যে দুজন ছিল না সাকিব, মুস্তাফিজ এবার ফিরেছে, তাসকিন অসাধারণ বল করছে, মিরাজ ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৫ এ আছে। আশা করি সবাই এ সিরিজে ভাল করবে। কারণ আমরা সবাই জানি ঘরের মাঠে এ সিরিজটা আমাদের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুধু বোলিং না, আমাদের সব বিভাগেই ভাল করতে হবে।’

টিআইএস/এনইউ