সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ঢের। অনেকের মতে প্রতিভার জোরে এখনো বাংলাদেশ দলে টিকে আছেন এই দুই ক্রিকেটার। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক না হলেও তাদেরকে খেলানোর পক্ষে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও সৌম্য-লিটনের প্রতি আস্থা রাখছেন দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্ষেত্রে ভিন্ন মত তার।

পারফরম্যান্সের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ পড়লেও ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের দলে আবার ফিরেছেন সৌম্য। তবে তার সম্প্রতি পরিসংখ্যান একেবারেই সুখকর নয়। রানের দেখা পাননি নিউজিল্যান্ড সফরেও। তবুও অলরাউন্ড প্রতিভার জোরে টিকে গিয়েছেন তিনি। লিটনের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান না ডমিঙ্গো।

আজ (শনিবার) এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ডমিঙ্গো বলেন, ‘সৌম্য বোলিং করতে পারে, তাই সে নিচের দিকেই ব্যাটিংয়ের বিবেচনায় আছে। তবে টপ অর্ডারেও সে একজন অপশন। তিনে ব্যাট করেছে নিউজিল্যান্ডে। তার ওপর আস্থা আছে। লিটন মানসম্পন্ন একজন খেলোয়াড়। একটু ভাগ্য পক্ষে থাকতে হবে। তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই। এমন খোলোয়াড়কে সাপোর্ট দিতে হবে।’

লঙ্কানদের বিপক্ষে ২৩ মে প্রথম ওয়ানডেতে সৌম্য একাদশে থাকবেন কী না জানতে চাওয়া হলে ডমিঙ্গো জানান, ‘আজ নির্বাচকদের সাথে বসব। সৌম্যর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও একাদশ সাজানো হয়নি। তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই। এমন খেলোয়াড়দের সাপোর্ট দিতে হবে।’

সৌম্য-লিটনকে অভয় দিলেও সাইফউদ্দিনের ক্ষেত্রে ভিন্ন মত ডমিঙ্গোর। দীর্ঘদিন চোটের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে কয়েক ম্যাচ সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ দলে একজন পেসার বোলিং অলরাউন্ডারের আকাল দীর্ঘদিনের। সে আক্ষেপ সাইফউদ্দিনে ঘুচবে বলে মনে করেন অনেকেই, তবে জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে হলে তাকে আরো প্রমাণ করতে হবে বলে জানান ডমিঙ্গো।

টাইগার হেড কোচ বলেন, ‘সাইফউদ্দিন সম্প্রতি চোটে অনেক ভুগেছে। সে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। শহিদুল বিকল্প হিসেবে আছে। সাইফউদ্দিনের সাথে তার ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।’ 

সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘সাইফউদ্দিন বোলিং অলরাউন্ডার, বোলিংয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মারকুটে ব্যাটিং পারে, তবে শীর্ষ ছয়ে ব্যাট করার মত হয়ে ওঠেনি এখনও। অতীতে ঘরের মাটিতে ভালো করেছে। সময় পক্ষে না থাকলে পারফরম্যান্স দিয়ে পক্ষে আনতে হয়, এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।’

টিআইএস/এটি