আউট হয়ে ফিরছেন বাভুমা, সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মাতলেন বিশ্ব ফার্নান্দো/ছবি: সংগৃহীত

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৭
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস:  (আগের দিন শেষে ১৪৮/১) ৭৫.৪ ওভারে ৩০২ (এলগার ১২৭, ফন ডার ডাসেন ৬৭ ; বিশ্ব ফার্নান্দো ১০১-৫, আসিথা ফার্নান্দো ৬১-২, শানাকা ৪২-২, চামিরা ৫৩-১)
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৩৯ ওভারে ১৫০/৪ (করুনারত্নে ৯১*, থিরিমান্নে ৩১, ডিকভেলা ১৮*; এনগিডি ২৬-৩, নরকিয়া ৪১-১)

দক্ষিণ আফ্রিকার লিড আর ডিন এলগারের শতক প্রায় নিশ্চিত ছিল আগের দিনই। সেটা হলোও টেস্টের দ্বিতীয় দিনে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্বাগতিক প্রোটিয়ারা লিডটা বড় করতে পারেননি, ওপেনার এলগারও সেঞ্চুরিটাকে আরও বড় করে তুলতে পারেননি। এর পুরো কৃতিত্ব লঙ্কান পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর। তার পাঁচ উইকেট শিকারে মাত্র ৩০২ রানেই গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। জবাবে শ্রীলঙ্কাও লিড নিয়েছে পাঁচ রানের, শতকের অপেক্ষায় আছেন দ্বিমুথ করুণারত্নে।

দিনের শুরুতে লঙ্কানদের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পিছিয়ে ছিল ৯ রানে, হাতে ছিল ৯ উইকেট। শতকের আট রানের অপেক্ষায় থাকা এলগার সোমবার স্থানীয় সময় সকালে তিন অঙ্কের দেখা পান দিনের পঞ্চম ওভারেই। পরের ওভারে অর্ধশতকের দেখা পান অন্য প্রান্তে থাকা রাসি ফন ডার ডুসেনও।

দুজনের ১৮৪ রানের জুটি যখন বড় লিডের আশা দেখাচ্ছে প্রোটিয়াদের, তখনই আঘাত শ্রীলঙ্কার। ডিন এলগারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে বাধ্য করেন দুশমন্থ চামিরা। পরের ওভারেই আরও এক ধাক্কা। দাসুন শানাকার শিকার হয়ে সাজঘরমুখো হন ফন ডার ডুসেন। ওভার চারেক পর আবারও শানাকার আঘাত প্রোটিয়া ইনিংসে, অভিজ্ঞ ফাফ ডু প্লেসি ফেরেন মাত্র ৮ রানে।

এরপরই শুরু বিশ্ব ফার্নান্দোর ঝড়ের। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক কুইন্টন ডি কককে ১০ রানে ফিরিয়ে শুরু। এরপর কেশব মহারাজ, টেম্বা বাভুমা, আনরিখ নরকিয়া, লুথো সিপামলাকে তিনি ফেরান অল্প রানেই। পেয়ে যান ক্যারিয়ার-সেরা ২৩.৪-০-১০১-৫ বোলিং বিশ্লেষণও। ফলে ৮৪ রানে নিজেদের শেষ নয় উইকেট হারিয়ে বড় লিডের আশা জলাঞ্জলি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০২ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে দলটি লিড পায় মাত্র ১৪৫ রানের।

তবে সেটাও শ্রীলঙ্কান ইনিংসের শুরুতে বেশ বড়ই মনে হচ্ছিল। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা দ্বিতীয় ইনিংসেও যে টেনে এনেছিল লঙ্কান টপ অর্ডার! প্রথম ইনিংসে যে কুশল পেরেরা পেয়েছিলেন একমাত্র অর্ধশতকটি, সে পেরেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন মোটে ১ রানে, লুঙ্গি এনগিডির বলে বোল্ড হয়ে।

করুণারত্নে আর লাহিরু থিরিমান্নে মিলে একটা প্রতিরোধের চেষ্টা অবশ্য করেছিলেন। তাদের ৮৫ রানের জুটির মাঝেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন করুণারত্নে। তবে জুটিটি এর বেশি আর স্থায়ী হতে পারেনি। সেই এনগিডির শিকার হয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরেন থিরিমান্নে। পরের বলে কুশল মেন্ডিসও শিকার বনেন এনগিডির। টানা তিন ইনিংসে শূন্য রানে আউটের লজ্জাও মেলে লঙ্কান এই ব্যাটসম্যানের। আগের ইনিংসে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করা নরকিয়া অভিষিক্ত মিনোদ ভানুকাকে ফিরিয়ে দেন ১ রানে। ১০৯ রানে চার উইকেট হারানোর পর অবশ্য আর কোনো ভুলচুক করেনি লঙ্কানরা।

ওপেনার করুণারত্নে ইনিংস সামলানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকওয়েলাকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৪১ রানের জুটিতেই ৫ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করে প্রোটিয়ারা।

এনইউ