পাকিস্তানকে উড়িয়ে প্রথমবার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে নিউজিল্যান্ড
উইকেটের উল্লাসে কাইল জেমিসন/ ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান: ২৯৭ (আজহার ৯৩; জেমিসন ৬-৬৯)
নিউজিল্যান্ড: ৬৫৯-৬ (উইলিয়ামসন ২৩৮, নিকলস ১৫৭, মিচেল ১০২*)
পাকিস্তান: ১৮৬ (আজহার ৩৭, গোহার ৩৭; জেমিসন ৬-৪৮)
ফল: নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ১৭৬ রানে জয়ী
সিরিজ: নিউজিল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচসেরা: কাইল জেমিসন
সিরিজসেরা: কেন উইলিয়ামসন
পাকিস্তানের ইনিংস ব্যবধানে হারটা চোখ রাঙাচ্ছিল আগের দিনই। কাইল জেমিসনের তোপে পড়ে সেটা আজ বাস্তবতা হয়েই দেখা দিয়েছে সফরকারী শিবিরে। তাতেই ইতিহাস রচনা করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানকে ইনিংস ও ১৭৬ রানে হারিয়ে সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে জিতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে গেছে দলটি। এতে করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগই সৃষ্টি হয়েছে কেন উইলিয়ামসনের সামনে।
বিজ্ঞাপন
ক্যারিয়ারসেরা ১১৭-১১ বোলিং বিশ্লেষণ নিয়ে কাইল জেমিসন বনে গেলেন চতুর্থ দিন আর ম্যাচেরই নায়ক। আর প্রথম দিনের সবুজ উইকেটে দারুণ লড়াই করা পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপ হয়ে রইলো নিজেদের ছায়া।
আগের দিন মাত্র আট ওভারেই একটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। বুধবার সকালে নাইটওয়াচম্যান মোহাম্মদ আব্বাসকে দিয়ে ধ্বসের শুরু দলটির। এরপর একে একে আবিদ আলি, হারিস সোহেইল, ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা আজহার আলি, মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরান জেমিসন, পূরণ করেন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ম্যাচে দশ উইকেট শিকার। ৯৬ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান রীতিমতো কাঁপছে তখন।
বিজ্ঞাপন
ফাওয়াদ আলম আর ফাহিম আশরাফ মিলে অসম্ভব একটা চেষ্টা করেছিলেন অবশ্য। কিন্তু দলীয় ১২৬ রানে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে বিদায় নেন ফাওয়াদ, ফাহিম বিদায় নেন ১৪৫ রানে। এরপর অভিষিক্ত টেস্ট খেলতে নামা জাফার গোহারও প্রতিরোধের একটা প্রয়াস দেখিয়েছেন। তাকে কিছুক্ষণ যোগ্য সঙ্গ দেয়ার কাজটা করেছিলেন শাহিনশাহ আফ্রিদি।
তবে তাতে হারের ব্যবধানটাই কমেছে কেবল। শাহিনশাহ বিদায় নেন দলীয় ১৭১ রানে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে গোহার আউট হন ব্যক্তিগত ৩৭ আর দলীয় ১৮৬ রানে। এতে দলের কপালে জোটে ইনিংস ও ১৭৬ রানের বড় এক হার।
তবে নিউজিল্যান্ড তখন উড়ছে সপ্তম আসমানে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল বলে কথা!
এনইউ