রোববার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তদন্ত কমিটির সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়/ঢাকা পোস্ট

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটলেও এতদিন ডিপিএলের ম্যাচগুলো মাঠে না বসে দেখার সুযোগ ছিল না। এবার তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে এমন একটি টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান বোর্ড পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় মনে করেন, ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

আজ (রোববার) মিরপুরে সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে দুর্জয় বলেন, ‘আসলে এই জিনিসগুলো অনেক আগে থেকেই ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ছোট দল-বড় দলের বৈষম্য দেখা গেছে। এখন ডিআরএসের কারণে অনেকটা স্বচ্ছতা এসেছে। তো আমার মনে হয় এখন যদি আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই প্রযুক্তিগুলো যুক্ত করি তবে সমস্যা অনেকটা সমাধানের পথ পাবে।’

সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে কিন্তু আপনি একটা দলেই খেলেন না। হয়ত কোন কোন ক্ষেত্রে কোন খেলোয়াড় এক দলেই খেলে। কিন্তু বাংলাদেশের ঐতিহ্যগতভাবে একটা দলে খেলে না। একটা সময় ছিল বড় দলগুলি সুবিধা পেত। আমি যখন খেলতাম তখন আবাহনী, মোহামেডান, বিমান এমন বড় দলের বিপক্ষে আমাদের একজন ব্যাটসম্যানকে দুই-তিনবার আউট দিত। কিন্তু সেই সময়টা তো এখন নাই। এখন প্রযুক্তি আসছে। সেই জিনিসগুলোকে যদি আমরা গ্রহণ করি তবে অনেক কিছু থাকবে না।’

দুর্জয় মনে করেন আন্তর্জাতিক আঙিনায় ভালো করতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিংয়ের মান বাড়াতে হবে। এই মান নিচে নামতে থাকলে ক্ষতি হবে এদেশের ক্রিকেটেরই।

দুর্জয় জানান, ‘ক্রিকেটটাকে সামনের দিকে এগোতে হলে অবশ্যই আম্পায়ারিংকে কনসিডারেশনে নিতে হবে। এটা এমন একটা জায়গা যেখান থেকে ক্রিকেট উন্নতি করতে পারে আবার ক্ষতিও হতে পারে। তাই আমার দিক থেকে একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে আমি যতটা পারি, একই সঙ্গে ফেয়ার আম্পায়ারিং এবং কোয়ালিটি আম্পায়ারের পক্ষে। আম্পায়ারদের মানও যেন ভাল হয় সেদিকটা নজরে রাখতে হবে।’

টিআইএস/এনইউ