আয়ারল্যান্ডকে স্তব্ধ করে আমিরাতের স্মরণীয় জয়
রিজওয়ান ও উসমানের ১৮৪ রানের জুটিই আমিরাতকে পাইয়ে দেয় ঐতিহাসিক এই জয়/ছবি: সংগৃহীত
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৬৯/৫ (স্টার্লিং ১৩১*, বালবার্নি ৫৩; রোহান ৪৩-২)
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ৪৯ ওভারে ২৭০/৪ (রিজওয়ান ১০৯, উসমান ১০২*; ম্যাককার্থি ৬০-২, ক্যাম্পার ৩১-২)
ফল: সংযুক্ত আরব আমিরাত ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: চুনদাঙ্গাপোয়িল রিজওয়ান।
সিরিজ শুরুর আগেই আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের হাই পারফর্ম্যান্স ব্যবস্থাপক রিচার্ড হোল্ডসওয়ার্থ জানিয়েছিলেন, সহজ হবে না সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে সিরিজটা। সেটা মুখে বললেও আয়ারল্যান্ড কি ভাবতে পেরেছিল, সিরিজের শুরুতেই তাদের চমকে দেবে আমিরাত? মাঠে সেটাই বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইরিশদের সামনে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
বিজ্ঞাপন
আবুধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে আসা আয়ারল্যান্ড শুরুতে পল স্টার্লিং আর কেভিন ও’ব্রায়েনের কল্যাণে ভালো সূচনা পায়। কেভিনের বিদায়ের পর স্টার্লিংয়ের সঙ্গী হন অ্যান্ডি বালবার্নি। অর্ধশতকের পর তিনি সাজঘরমুখো হন, এরপর দুই ওভারের ব্যবধানে হ্যারি টেক্টর ও লরকান টাকারের বিদায়ে কিছুটা বিপাকেই পড়ে আইরিশরা।
সেই থেকে আয়ারল্যান্ড ইনিংসের পুরোটাই ছিল ‘স্টার্লিং-শো’। ৬৭ বলে অর্ধশতক ছুঁয়ে তিন অঙ্কের দেখা পান ১৩৩ বলে। পরের ১৫ বলে তার করা ৩১টি রান লড়াকু ২৬৯ রানের পুঁজি এনে দেয় সফরকারীদের।
বিজ্ঞাপন
জবাবে শুরুটা যেমন হওয়া প্রয়োজন ছিল, তেমন ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ৫১ রানেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। অসহায় আত্মসমর্পন তখন চোখ রাঙাচ্ছে আমিরাতকে। চুনদাঙ্গাপোয়িল রিজওয়ান ও মোহাম্মাদ উসমানের ১৮৪ রানের জুটি স্বাগতিকদের তো উদ্ধার করেই, নিয়ে যায় জয়ের অনেক কাছেও। ১৩১ বলে ১০৯ রান করে রিজওয়ান যখন ফেরেন, তখনও আচমকা ধ্বসের শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছিল না।
সে শঙ্কা থেকে আমিরাতকে উদ্ধার করেন উসমান। ১০২ বলে ১০৬ রানের ইনিংসে দলকে নিয়ে যান ঐতিহাসিক জয়ের বন্দরে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিল ওয়াহিদ আহমেদের দুই চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রানের ক্যামিও। আয়ারল্যান্ড তো বটেই, টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষেই যা দলটির প্রথম ওয়ানডে জয়!
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগামীকাল রোববার সকালে আবারও মাঠে নামবে দুই দল।
এনইউ