জোড়া গোল করে লিভারপুলের জয়ের নায়ক সাদিও মানে/ছবি: সংগৃহীত

গেল মৌসুমে কারাবাও কাপে বড় হারটা হয়তো তেমন আমলে নেয়নি লিভারপুল, খেলতে হয়েছিল যে আনকোরা দল নিয়ে! তবে চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ৭-২ গোলের হারটা মোহামেদ সালাহদের স্মৃতিতে এখনো বেশ টাটকা। সেই অ্যাস্টন ভিলাকে এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা যেন এর প্রতিশোধই নিল।

ম্যাচের আগে অবশ্য একগাদা সমস্যায় পড়েছিল স্বাগতিক ভিলা। সবগুলোই অবশ্য করোনা সংক্রান্ত জটিলতা। প্রথম দফায় দলের কিছু খেলোয়াড় করোনাক্রান্ত হয়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলার। সতর্কতা মেনে পরের করোনা পরীক্ষায় দেখা গেল পুরো দলই আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন কোভিডে। এমনকি কোচ ডিন স্মিথকেও চলে যেতে হয় আইসোলেশনে।

বাধ্য হয়ে ভিলা কর্তৃপক্ষকে মাঠে আসতে হয় ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দল থেকে খেলোয়াড় নিয়ে, যাদের একজনেরও নেই মূল দলে খেলার অভিজ্ঞতা! দলটির প্রথম একাদশে ছিলেন অনূর্ধ্ব ২৩ দলের সাত খেলোয়াড়, অনূর্ধ ১৮ দলের চার জন ছিলেন দলে। কোচ স্মিথের জায়গায় ডাগ আউটে বসেন যুব দলের কোচ মার্ক ডেলানি।

এমন এক দলের বিপক্ষে লিভারপুল এগিয়ে যায় ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই। সাদিও মানের হেডারে ম্যাচের প্রথম গোল পায় সফরকারীরা। পরের আধঘণ্টায় রক্ষণেই মনোযোগ ছিল স্বাগতিকদের। এরপরই আসে ১৭ বছর বয়সী পুঁচকে লুই ব্যারির সমতাসূচক গোল। বার্সেলোনা অ্যাকাডেমি লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা এই তরুণের গোলে লিভারপুলের সঙ্গে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় অ্যাস্টন ভিলা।

তবে ভিলার প্রায় অসম্ভব এক জয়ের স্বপ্ন ভাঙে দ্বিতীয়ার্ধে। ৬০তম মিনিটে জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডামের গোলে ম্যাচে দ্বিতীয়বার এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল পরের পাঁচ মিনিটে করে আরও দুই গোল। ৬৩ মিনিটে আরও এক হেডার থেকে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি পান মানে। এর মিনিট দুয়েক পর ভিলা বিপদসীমার ভেতরে থেকে মোহামেদ সালাহর নিচু শট থেকে করা গোল ম্যাচের সব অনিশ্চয়তা দূর করে দেয়। ২০১৯-২০ মৌসুমে কারাবাও কাপের ৫-০ ব্যবধানে আর চলতি মৌসুমে ৭-২ ব্যবধানের হার ভুলে লিভারপুল পা বাড়ায় চতুর্থ রাউন্ডে।

এনইউ