বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্সের সবেধন নীলমনি। মাঝে মধ্যে সাইক্লিংও এই ভেন্যু ব্যবহার করে। ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি হবে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি থেকে। দুটি প্রতিযোগিতারই ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। 

জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে অ্যাথলেট, কর্মকর্তা, জাজরা আসেন। হাজার লোকের সমাগম হয়। দিনভর কর্মকান্ড চলে অ্যাথলেটিক্সের। ১৫ থেকে ১৭ এই তিনদিন জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের মধ্যে আবার ফুটবল লিগও চলবে। বাফুফে লিগের ম্যাচ রাত আটটায় রেখেছে। অ্যাথলেটিক্সের দিনের ইভেন্টগুলো শেষ হতে হতে সন্ধ্যা। এর ঘন্টা খানেক পরই ফুটবল ম্যাচ আয়োজন কষ্টসাধ্য। এরমধ্যে আবার করোনা ঝুঁকি। কারণ অ্যাথলেটিক্সে প্রতিদিন হাজার মানুষের সমাগম হবে। 

সামগ্রিক বিষয় নিয়ে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে বাফুফে কিছু নির্দেশনা ও অনুরোধ জানিয়েছে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মন্টু ভাইয়ের সঙ্গে আমরা ইতোমধ্যে কথা বলেছি করোনা ইস্যুতে। সামনে চিঠিও দেব। তাদের অনুরোধ করেছি, ট্র্যাকের মধ্যেই বেশি থাকতে। খুব প্রয়োজন না হলে আমাদের মাঠে প্রবেশ না করতে।’ 

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ‘আমরা ফুটবলের সঙ্গে মিলে এই ভেন্যু ব্যবহার করি। ফুটবল প্রায় সারা বছরই এই স্টেডিয়াম ব্যবহার করে। আমরা বছর জুড়ে সর্ব সাকুল্যে মাত্র ৩০ দিন প্রতিযোগিতার জন্য ব্যবহার করি। এরমধ্যে এত নির্দেশনা ও অনুরোধের কিছু নেই। এরপরও করোনার কারণে অন্যরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই দিকগুলো আমরা বিবেচনা করব।’

অ্যাথলেটিক্সের পাশাপাশি নিজেরাও বাড়তি সতর্কতা ব্যবস্থা করছে ফুটবল ফেডারেশন। তিন দিনই অ্যাথলেটিক্সের কর্মকান্ড শেষ হওয়ার পর জীবানুনাশক পানি ও ওষুধ ছিটানোর পরিকল্পনা আছে ফুটবল ফেডারেশনের।

এজেড/এটি/এমএইচ