৪০ বছর পর সিডনিতে ভারতের কীর্তি
ছবি: সংগৃহীত
সিডনিতে মহাকাব্যিক এক ড্র পেয়েছে ভারত। যাকে অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে দেখছেন জয়ের সমান করে। এমন কীর্তিতে দশক পুরনো অনেক রেকর্ড ভেঙেছে সফরকারীরা। সেসব রেকর্ড দেখে নেয়া যাক এক নজরে...
১৯৭৯ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ভারত শেষবার ১৩২ ওভারের বেশি ব্যাট করেছিল ১৯৭৯ সালে। সেবারও সফরকারী দলের নাম ছিলো ভারতই, ইংল্যান্ডের মাটিতে সেবার ‘দ্য ওভালে’ ১৫০ ওভার ব্যাট করে টেস্ট বাঁচিয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কাররা। সেই ওভাল আর এই সিডনি মিলিয়ে এরপর ভারত একশো ওভারের বেশিই খেলেছে মোটে পাঁচ বার!
বিজ্ঞাপন
৬ অস্ট্রেলিয়ায় চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে ১৩০ ওভারের বেশি (অথবা ১৩০টি ছয় বলের ওভারের সমপরিমান সময়) ব্যাট করে টেস্ট বাঁচানোর নজির ঘটেছে ছয়বার। ১৯৭১ সালের পর এ ঘটনা ঘটেছে দুই বার। ২০১২ সালে সর্বশেষ ১৪৮ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ বাঁচিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৫৬ হনুমা বিহারি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের খেলা বলের সংখ্যা। টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে এর চেয়ে বেশি বল খেলার কীর্তি আছে কেবল তিনটি। সবচেয়ে বেশি খেলেছিলো সিডনির ভুক্তভোগী অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৯ সালে হোবার্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে জাস্টিন ল্যাঙ্গার আর অ্যাডাম গিলক্রিস্ট খেলেছিলেন ৩৫৩ বল।
বিজ্ঞাপন
২ চতুর্থ ইনিংসে ষষ্ঠ উইকেটে ভারতের আড়াইশোর বেশি বল খেলার কীর্তি ঘটেছে তিন বার। বিহারি আর অশ্বিনের ২৫৬ বলের কীর্তিটা ছাড়া বাকি দুইবারই অবশ্য হেরেছিল ভারত। ২০১৮ সালে রিশাভ পান্ট ও লোকেশ রাহুল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২৬৭ বল। ১৯৯৯ সালে শচীন টেন্ডুলকার আর নয়ন মোঙ্গিয়া খেলেছিলেন ২৬৬ বল।
১৪৮ সিডনি টেস্টের চতুর্থ ইনিংসের চতুর্থ উইকেটে চেতেশ্বর পুজারা আর পান্ট মিলে যোগ করেছেন ১৪৮ রান। যা চতুর্থ ইনিংসের চতুর্থ উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ। এর আগের সর্বোচ্চ রানের কীর্তিটা ছিল ৭২ বছরের পুরনো। উইন্ডিজের বিপক্ষে মুম্বাইতে সেবার চতুর্থ ইনিংসের চতুর্থ উইকেটে ১৩৯ রান যোগ করেছিলেন বিজয় হাজারে ও রুসি মোদি।
৯৭ সিডনি টেস্টের শেষ দিনে পান্টের করা ৯৭ সফরকারী উইকেটরক্ষক হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। এর চেয়ে বড় ইনিংসের কীর্তি কেবল আছে অ্যালান নটের। ১৯৭৫ সালে অ্যাডিলেডে একমাত্র সফরকারী উইকেটরক্ষক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি।
৩ শেষ দিনে ভারত উইকেট হারিয়েছে তিনটি। ২০০১ সালের পর এছাড়া কেবল একবারই কোনো টেস্টের শেষ দিনের পুরোটা খেলা হবার পরেও তিন কিংবা তার চেয়েও কম উইকেট পড়ার নজির দেখেছে অজিরা। ২০০৫ সালে পার্থে ১২৬ ওভার ব্যাট করে টেস্ট বাঁচিয়েছিল সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা।
এনইউ/এটি