রিয়াদের অর্ধশতক বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে লড়াকু সংগ্রহ/বিসিবি

ইনিংসের তখন দশম ওভার চলছে। অ্যাস্টন অ্যাগারের তৃতীয় বলটি ডিপ মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন আফিফ হোসেন। বদলে গেল বল। সঙ্গে যেন বার্তাও দিলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন দিনের। 

এই শট বদলে দিয়েছে ইনিংসের শুরুর অস্বস্তিও। ভেজা উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। এরপর দুই ওপেনারের দ্রুত ফিরে যাওয়া। বার্তা দিচ্ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের উৎসব-উৎসব ভাবে খানিকটা ছেদ ফেলার।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেছিলেন দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। তাদের ৪৪ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলায় টাইগাররা। ৪ চারে ১৬ বলে ২৭ রান করে ফেরেন সাকিব। 

তবে এরপর আফিফ এসে ধরে রাখেন তার দেখিয়ে যাওয়া পথ। দারুণ এক ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে যখন তাকে নিয়ে ‘মাতামাতি’কে ঠিক প্রমাণ করার বার্তা দিচ্ছেন তখনই অ্যালেক্স ক্যারি ফিল্ডিংয়ে যেন হয়ে উঠলেন উত্তরসূরি রিকি পন্টিং। তার দারুণ থ্রো সরাসরি স্টাম্পে আঘাত হানলে ১৩ বলে ১৯ রান করে ফিরতে হয় আফিফকে। 

তার মতো ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকেও। আফিফের মতো তিনিও এদিন হাঁকিয়েছিলেন দারুণ এক ছক্কা। কিন্তু তার সাজঘরে ফেরার কারণ হন হ্যানরিকস। চাইলে এই দায় দেওয়া যায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও। কারণ এই রানটা আদতে হয় কি না তা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা যায় সহজেই। রানের জন্য দৌড়াতে বলেছিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কই। 

রিয়াদ অবশ্য প্রায় পুরো ইনিংসজুড়েই ছিলেন ক্রিজে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রিজে আসেন, ছিলেন শেষ ওভারেও। আউট হন শেষ ওভারের ৪র্থ বলে। ৫৩ বল খেলে তার রান ৫২।

তার ইনিংসের গতি আরেকটু বাড়লে দলের রানটাও হয়তো আরও বাড়ত। তবে রিয়াদের ইনিংসটা বাংলাদেশের ইনিংসকে ঠিক পথে রাখতে সহায়তা করেছে।

ইনিংসের শেষ তিন বলে বাংলাদেশ যেখানে আরও অন্তত ১০টি রান চাচ্ছিল তখন ঘটল উল্টোটা। বাংলাদেশ কোনো রানই পায়নি, নাথান অ্যালিস করে বসলেন হ্যাটট্রিক! পরপর তিন বলে আউট হলেন মাহমুদ উল্লাহ, মুস্তাফিজ, মেহেদি।

এতে অজিদের লক্ষ্যটা থাকে ৪৯.৩ ওভারে তোলা ১২৭ রানই।

দেখার বিষয়, এই রানে অজিদের আটকে রাখতে পারে কি না টিম টাইগারস। তাতে সফল হলেই সিরিজটা বাংলাদেশের হয়ে যায়!

এমএইচ/এনইউ/জেএস