ফাওয়াদ আলম/ক্রিকইনফো

পাকিস্তান ৩০২ (ফাওয়াদ ১২৪*, বাবর ৭৫; সিলস ৩-৩১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-৩৯ (বোনার ১৮*; শাহিন ২-১৩)

দুই রান তুলতেই নেই হয়ে গিয়েছিল তিন উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন, দারুণ এক সেঞ্চুরিতে করলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ফাওয়াদ আলমের এমন লড়াকু ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াইয়ের রসদ পেয়েই গিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ছড়ি ঘুরিয়েছেন বোলাররা, তাতেই সফরকারীরা চলে এসেছে চালকের আসনে।

ফাওয়াদ তার ক্যারিয়ারের ‘প্রথম’ ফিফটি পেয়েছিলেন আগের টেস্টে। জ্যামাইকায় সেদিন ৫৬ রান করে জেসন হোল্ডারের বল স্ট্যাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছিলেন। তাতেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ৫০ পেরোনো ইনিংসের দেখা পেয়ে যান তিনি, কারণ এর আগে যে চারবার ফিফটি ছুঁয়েছেন, তার সবকটাকে রূপ দিয়েছিলেন সেঞ্চুরিতে।

সেই ‘শঙ্কা’ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে ক্র্যাম্প নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল যে। তবে পাকিস্তানের সৌভাগ্য, সে শঙ্কাটা শেষমেশ বাস্তবতায় রূপ পায়নি। পেলে হয়তো বড় সংগ্রহও মিলত না তাদের। 

তৃতীয় দিনে ফাহিম আশরাফের বিদায়ের পর ক্র্যাম্প একপাশে রেখে ফাওয়াদ ফেরেন আবারও। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান, নুমান আলি, হাসান আলি, শাহিন শাহ আফ্রিদি, আর মোহাম্মদ আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে ছোট ছোট অথচ কার্যকরি জুটিতে দলের পুঁজিটাকে ৩০২-এ নিয়ে ঠেকান তিনি। এর পথে নিজেও তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক। 

তবে বৃষ্টি আর স্যাবাইনা পার্কের বাজে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা অবশ্য এর আগে টেস্ট থেকে কেড়ে নিয়েছে চারটি সেশন। তৃতীয় দিন কিংস্টনের আকাশে ঝলমলে রোদ উঠলেও মাঠের মাইকেল হোল্ডিং এন্ডে বোলার রান আপের জায়গায় পানি জমে ছিল বেশ। যে কারণে দিনের খেলা ৯৮ ওভার ধরা হলেও শেষমেশ তা নেমে আসে মাত্র ৫৩ ওভারে।

তবে ব্যাটিংয়ের লড়াকু পুঁজিতে ভর করে বোলারদের দারুণ পারফর্ম্যান্সে সে ঘাটতিটা পুষিয়েই নিয়েছে পাকিস্তান। ১৮ ওভারের মতো বল করতে পেরেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদিরা, তাতেই নেই হয়ে গেছে উইন্ডিজের তিন উইকেট। দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট আর কাইরন পাওয়েলকে তুলে নিয়েছেন শাহিন, আর রস্টন চেজ হয়েছেন ফাহিম আশরাফের শিকার। ফলে পাকিস্তান তৃতীয় দিন শেষে করছে বড় লিডের আশাই।

এনইউ