ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ভালো হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। করোনাভাইরাসের কারণে আইপিএল বন্ধ হওয়ার আগে ভারত পর্বে ৭ ম্যাচে মাত্র ২টি জয় ছিল শাহরুখ খানের দলের। দ্বিতীয় পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে নেমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নাইটরা। আগের ৩ ম্যাচে ২ জয়ের পর আজ (মঙ্গলবার) দিল্লি ক্যাম্পিটালসের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় তুল নিয়েছে তারা। এই জয়ের ফলে নিজেদের ১১ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো কলকাতা।

এই ১১ ম্যাচের মধ্যে প্রথম ৩ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর একাদশে জায়গা হারান তিনি। আইপিএল থেকে ফিরে জিম্বাবুয়ে, অস্টেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে পারফর্ম করেন সাকিব। ধারণা করা হচ্ছিল আরব আমিরাত পর্বের শুরু থেকেই একাদশে দেখা যাবে তাকে। তবে অবশিষ্ট অংশে শাহরুখ খানের দল চার ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনো নাইটদের জার্সিতে কলকাতার একাদশে দেখা যায়নি সাকিবকে।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে দিল্লিকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কলকাতা। ভালো শুরু পেয়েও সেটি ধরে রাখতে পারেনি দিল্লি। ওপেনার শিখর ধাওয়ান ২৪ রান করে আউট হওয়ার পর ১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার। স্টিভ স্মিথ বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখালেও লাভ হয়নি তাতে। ৩৪ বল খেলে স্মিথ আউট হন ইনিংস সর্বোচ্চচ ৩৯ রান করে। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন বাকি ব্যাটসম্যানরা।

কলকাতার বোলারদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১২৭ রানের পুঁজি পায় দিল্লি। কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন লকি ভার্গুসন, সুনীল নারিন ও ভেঙ্কেটেশ আইয়ার।

১২৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে সাবধানী শুরু কলকাতার। উদ্বোধনী জুটিতে ২৮ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় আউট হন ভেঙ্কেটেশ। আরেক ওপেনার শুভমান গিল খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। রাহুল ত্রিপাটি অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি, তিনি ফেরেন ৯ রান করে। মরগ্যান খালি হাতে ফিরলেও দলকে বিপদে পড়তে দেননি নতিশ রানা। 

কার্তিক ১২ ও নারিন ২১ রান করে আউট হলে টিম সাউদিও ফিরে যান ৩ রান করে। এতে শঙ্কা দেখা দিলেও দলকে বিপদে পড়তে দেননি রানা। জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। পরে ১০ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পায় কলকাতা নাট রাইডার্স। রানা ২৭ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে। দিল্লির হয়ে আভাস খান সর্বচ্চ ৩ উইকেট নেন।

টিআইএস