মুস্তাফিজুর রহমানের দল রাজস্থান রয়্যালসের সময়টা ভালো কাটছে না আদৌ। চলতি আইপিএলে দশটা ম্যাচ খেলে ফেলেছে, জিতেছে মোটে চারটিতে। প্লে অফের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গিয়েছিল তাতেই। আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রাজস্থান না জিতলে যে শেষ চারের পথটা আরও বন্ধুর হয়ে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।

বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে সেটা কঠিনই করে বসেছে দলের ব্যাটাররা। দুর্দান্ত শুরুর পরও শেষ ৪৯ রান তুলতে হারিয়ে বসেছে ৮ উইকেট, ইনিংস শেষ করেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলে। তাতে রাজস্থানের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর লক্ষ্যটা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫০ রানের।

অথচ কি দুর্দান্তই না করেছিল রাজস্থান। যশস্বী জেসওয়াল আর এভিন লুইসের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮ ওভারেই তুলে ফেলেছিল ৭১ রান। নবম ওভারের শুরুটাও হলো ছক্কা দিয়ে। এরপরই জেসওয়াল বিদায় নিলেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের শিকার হয়ে। এরপরও সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে লড়ে যাচ্ছিলেন লুইস। ১০ ওভারে দলের ঝুলিতে জমা পড়ে ৯১ রান।  

পরের ওভারে এলো ৯ রান। দল শতরান তুলে ফেলে ১১ ওভারের শেষেই। ১২তম ওভারের শুরুর বলে লুইস বিদায় নিলেন জর্জ গার্টনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে। রাজস্থান ইনিংসে ধ্বসের শুরু সেখানেই।

আগের দুই ম্যাচে দুটো বড় ইনিংস খেলা অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন এদিন থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শাহবাজ আহমেদের বলে ১৯ রানে আউট হন তিনি। এর আগের ওভারে মহীপাল লমরোরকেও হারিয়ে ফেলে দলটি। অধিনায়কের ফেরার ওভারে বিদায় নেন রাহুল তেওয়াটিয়াও। 

অধিনায়ক আর মারকুটে দুই ব্যাটারকে হারিয়ে সেই যে রানের চাকায় গতিটা থেমে গেল রাজস্থানের, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত গতি ফেরেনি তাতে। ফলে শুরুর দশ ওভারে ৯১ রান তুলেও শেষ দশ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারল কেবল ৫৮ রান। বাঁচা মরার লড়াইয়ে তাতে মুস্তাফিজদের কাজটা হয়ে গেছে আরও কঠিন।

এনইউ