বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ভারোত্তোলনে ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে ১৭০ কেজি তুলে সেরা বাংলাদেশ আনসারের মাবিয়া আক্তারই। স্বর্ণপদক জিতলেও ইনজুরি আর শারীরিক অসুস্থতাই নাকি তাকে রেকর্ড গড়তে দেয়নি। মাবিয়ার কণ্ঠে আক্ষেপের সুর, ‘চেষ্টা করেছি রেকর্ড গড়ার। চোট ছিল তিনটা। চোট সারিয়ে উঠতে পারিনি এখনও। শারীরিকভাবে আজও অসুস্থ। ইচ্ছা করেই সেরাটা চেষ্টা করিনি। চাইলেও জেদ কাজ করাতে পারছিলাম না। নিজের জীবন রক্ষা করেছি।’

টানা দুইবার দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণজয়ী মাবিয়ার মধ্যে ক্ষোভও কাজ করছে, ‘আমি আর অলিম্পিকের জন্য স্বপ্ন দেখিনা। যেহেতু পরপর ৩ বার হোঁচট খেয়েছি। চতুর্থবার আর ওই পথে কেউ যাব না। আমি কোথা থেকে কোথায় উঠে এসেছি সেটা সবাই জানে। আমি যখন খেলায় এসেছি ফেডারেশন আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট করেছে। সহসভাপতি উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন স্যার সাপোর্ট করেছেন। আমি যে লড়াই করে এসেছি এখনকার জুনিয়ররা সেটার মাধ্যম দিয়ে আসেনা। তারা যে সুবিধা পাচ্ছে আমি সেটা পাইনি। এবং আমি যা চাই সেটা পাচ্ছি না। আমি স্ট্যাম্পে লিখে দিব- আমাকে যদি ট্রেনিং প্লানে রাখা হয়, আমার পক্ষে কমনওয়েলথ গেমসে মেডেল আনা সম্ভব।’

ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাবিয়াকে অলিম্পিকের বাছাইয়ের জন্য ১১ বার বিদেশে পাঠিয়েছি। আমি মনে করি এটা ওর জন্য যথেষ্ট ছিল। ও অলিম্পিকে সুযোগ পায়নি র‍্যাঙ্কিংয়ে আসতে পারেনি বলে। তাছাড়া ও ইনজুরিতেও ছিল। ওর চাহিদা মতো সব দিয়েছি আমরা।’ 

তিনি যোগ করেন, ‘এবারের সিনিয়র আসরে অনেক নতুন মুখ দেখা যাবে। ওরা কোয়ালিফাই করেছে। শুভ লক্ষণ এটা। এখানে ১০ জন ছেলে ও ১০ জন মেয়ে বাছাই করতে হবে। কমনওয়েলথ আছে সামনে। এখানে বাছাই করতে সুবিধা হবে।’

অভিমান শেষে মাবিয়া নিজেকে দাঁড় করালেন আরও এক চ্যালেঞ্জের সামনে। বললেন, ‘সামনে আমি শুধু এমন একটি রেকর্ড করে যেতে চাই, যা বাংলাদেশের কোনো ভারোত্তোলক ভাঙতে পারবে না। এটা আমার নিজের কাছে নিজের চ্যালেঞ্জ। আমি এসএ গেমসে টানা তৃতীয় স্বর্ণপদক এনে দিতে চাই।’ 

এজেড/এনইউ