ফাইল ছবি

তিন রাউন্ড বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে থেকে চতুর্থ রাউন্ডে ছন্দপতন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের ভেন্যুতে খেলতে পয়েন্ট খুঁইয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী। ২-২ গোলে ড্র করেও প্রতিপক্ষের মাঠের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস।

তিনি বলেন, ‘আমি তিন মৌসুম বাংলাদেশে কোচিং করাচ্ছি। যত মাঠে গিয়েছি এর মধ্যে এটিই সেরা। মাঠের গুণাগুণ ও স্টেডিয়ামের পরিবেশ সব মিলিয়ে দারুণ। এ রকম মাঠেই লিগের খেলা বেশি হওয়া উচিত।’
 
লিগের অন্যতম শিরোপা দাবিদার কিংসেরও হোম ভেন্যু কুমিল্লা। প্রতিপক্ষের ভেন্যু হলেও প্রশংসা করতে দ্বিধা করছেন না ল্যামোস, ‘কিংস ও মোহামডান উভয়ই প্রশংসার দাবিদার। তারা লিগে সুন্দর একটি ভেন্যু উপহার দিয়েছে। আবাহনীর মতো অন্য দলও আশা করি সমর্থন করবে।’

ম্যাচে দুই বার আবাহনী লিড নিলেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারার আক্ষেপও রয়েছে এই পর্তুগীজের, ‘প্রথমার্ধে আমরা ২-১ গোলের লিডে ছিলাম। খেলোয়াড়রা ভেবেছিল আমরা ম্যাচ জিতে গেছি। আমাদের এই  মানসিকতা মোহামেডান দুর্দান্তভাবে কাজে লাগিয়েছে। প্রকৃত অর্থে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ম্যাচে সেভাবে ছিলামই না।’

মোহামেডান ফেডারেশন কাপে এই আবাহনীর কাছে ০-৩ গোল হেরেছিল। মাস খানেকের ব্যবধানে আবাহনীকে ২-২ গোলে রুখে দিয়ে খানিকটা তৃপ্ত মোহামেডানের বৃটিশ কোচ শেন লী, ‘বল পজেশন, আক্রমণে আমরা কোনো অংশে পিছিয়ে ছিলাম না। তিন পয়েন্ট পেলে ভালো লাগতো। তারপরও এক পয়েন্ট খারাপ হয়নি।’

প্রথমার্ধে আবাহনীর প্রাধান্য বেশি ছিল। ২-১ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধে অন্য রকম মোহামেডান। শুরু থেকে আক্রমণ, বল পজেশনে এগিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে অন্য মোহামেডানের রহস্য উন্মোচন করলেন বৃটিশ কোচ।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমি কিছু ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন এনেছি। উরুকে মিডফিল্ডে খেলিয়েছি, পাশাপাশি ফরমেশনেও পরিবর্তন এনেছি। ফুটবলারদের বলেছি, ঢাকা ডার্বিও হোম ম্যাচ তোমাদের। এখানে যে কোনো মূল্যে পয়েন্ট পেতে হবে। তোমাদের সেই সামর্থ্য আছে। আমার শিষ্যরা ৯০ মিনিট শেষে সেটা প্রমাণ করেছে।’

এজেড/এমএইচএটি