মোহামেডানের হোম ম্যাচে আবাহনীর সমর্থক বেশি!
ছবি : সংগৃহীত
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম ঢাকা মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংসের ভেন্যু। স্টেডিয়ামের গ্যালারি দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশ মোহামেডানের আরেক অংশ কিংসের। মোহামেডানের হোম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনীর সমর্থকই বেশি গ্যালারিতে। কিংসের অংশেই তারা বসেছেন। কয়েকজন দর্শকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেল, তারা ভুল করে নয় সজ্ঞানেই মোহামেডানের বিপরীত গ্যালারিতে বসেছেন এবং তারা আবাহনীকে সমর্থন করছেন।
মধ্য বয়স্ক সমর্থক আকতার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আবাহনীকে ছোট থেকে সমর্থন করি। অধিকাংশ খেলা ঢাকায় হওয়ায় যাওয়া হয়নি। অনেক দিন পর আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ তাই ছুটি নিয়ে দেখতে এলাম।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই অধিনায়ক সোহেল রানা ও উরু নাগাতা যখন হ্যান্ডশেক করলেন ম্যাচ শুরুর আগে তখন সর্বসাকুল্যে দর্শক হাজার চারেক। কয়েক দিন আগে কিংস ও ব্রাদার্স ম্যাচের চেয়েও কম। কিংস ঘরোয়া ফুটবলে মাত্র বছর দুয়েক ধরে আছে। অল্প সময় হলেও কিংসের ম্যাচে এখন অনেক সমর্থক আসেন। বিশেষ করে কুমিল্লায় তাদের প্রথম হোম ম্যাচে কিংসের গ্যালারি প্রায় পুরোটাই লাল জার্সিতে পূর্ণ ছিল।
বিজ্ঞাপন
মোহামেডানের হোম ম্যাচ আবার প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী। এরপরও গ্যালারিতে সেই শূন্যতা। করোনাকালীন সময়ের মধ্যেও হাজার চারেক দর্শকের উপস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মোহামেডানের দলনেতা আবু হাসান চৌধুরি প্রিন্স, ‘ঢাকায় এই ম্যাচ হলে এর চেয়ে কম দর্শক হতো। কুমিল্লায় ভেন্যু নেওয়ার ফলে কিছুটা হলেও আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে।’
আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু মোহামেডানকে ঢাকার বাইরে ভেন্যু নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালেন, ‘আবাহনী-মোহামেডান অন্য দশটি ম্যাচের মতো নয়। আমরা এত দিন ঢাকাতেই খেলতাম। মোহামেডান কুমিল্লায় ভেন্যু করায় অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে।’
কুমিল্লা মোহামেডানের ঘাঁটি। বাদল রায়সহ কুমিল্লা থেকে আরও অনেক তারকা ফুটবলার পেয়েছে মোহামেডান। এরপরও আবাহনীর সমর্থকসংখ্যা অনেক এই প্রসঙ্গে রুপু বলেন, ‘আবাহনী সমর্থকপুষ্ট দল। আমাদের জেলা কমিটি রয়েছে। এই ম্যাচেও আমাদের অনেক সমর্থক এসেছে। মোহামেডান গ্যালারির চেয়ে অন্য অংশের গ্যালারির দর্শক বেশি ভালোই লাগছে।’
আবাহনী-মোহামেডান দুই দলেরই জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি। ঢাকার বাইরে আবাহনী বা মোহামেডান যে দলেরই হয়ে খেলতে গেছেন হাজার হাজার দর্শকের চাপের ভেতর খেলেছেন।
বিজ্ঞাপন
কালের পরিক্রমায় এখন স্টেডিয়াম অনেকটা শূন্য এটা অনেক কষ্ট দিয়েছে জনিকে, ‘মোহামেডান অনেক দিন শিরোপা রেসে নেই। এতে দর্শকরা কিছুটা হলেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হলেও পেশাদারভাবে সমর্থকদের নিয়ে সেভাবে কাজ করতে পারেনি। যেভাবে সাইফ স্পোর্টিং ও কিংস করছে।’
এজেড/এমএইচ/এটি