উইন্ডিজদের প্রস্তুতি শেষ, সোহানদের বিপক্ষে ম্যাচ ড্র
ছবি : সংগৃহীত
ম্যাচটা প্রস্তুতির। ক্যারিবীয়ানদের জন্য তাই। কিন্তু বিসিবি একাদশের ক্রিকেটারদের জন্য কী? যদি উত্তর চ্যালেঞ্জ হয়। তাহলে বলা চলে সেই জায়গায় তারা ব্যর্থ অনেকটা। প্রাপ্তি বলতে প্রথম ইনিংসে রিশাদের পাঁচ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে তরুণ পেসারদের সাফল্য আর ইয়াসিরের ব্যাটে রান।
প্রথম ইনিংসে দারুণ বল করা সৈয়দ খালেদ আহমেদ অথবা এই ম্যাচের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। কেউই জায়গা পাননি ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে। বিসিবি একাদশের জন্য যেমন-তেমন, উইন্ডিজদের প্রস্তুতি বেশ ভালোই হয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশের মূল অস্ত্র স্পিনে যে তারাও কম যাবে না, সেই বার্তা এই ম্যাচে আগেভাগেই দিয়ে রাখলো ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল।
বিজ্ঞাপন
প্রথম ইনিংসে রাকিম কার্ণওয়াল নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন একাদশে না থেকেও পেয়েছেন ফাইফার। চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট কেমন, সেই ধারণা যেন পাওয়া গেছে খানিকটা আগেই।
তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের শেষদিনে ১৭৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খেলতে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শুরুতেই ক্যারিবীয়ানদের দুই উইকেট তুলে নেয় বিসিবি একাদশ। ৮০ রান করা এনক্রুমাহ বোনারকে সাজঘরে ফেরান সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
এরপর ক্রিজে জমে যান জশুয়া ডি সিলভা ও রাইমন রিফার। ৪৬ রান করা ডি সিলভাকে ফেরান তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। অন্যপ্রান্তে টিকে ছিলেন রেফার। যদিও সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। ৯৪ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
২৯১ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের সামনে ৩৮৯ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। বাংলাদেশের পক্ষে ১৭ ওভার ২ বল করে ৫৯ রান দিয়ে চার উইকেট পান মুকিদুল ইসলাম। ১৬ ওভারে ৪২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন খালেদ আহমেদ।
দ্বিতীয় ইনিংসে বিসিবি একাদশ ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯ ওভার ব্যাট করার পর ড্র মেনে নেন দুই দলের অধিনায়ক। সাদমান ইসলাম ২ চারে ৮১ বলে ২৩ ও ইয়াসির আলী ৫৬ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস- ২৫৭/১০ (ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ১৮৭ বলে ৮৫ রান; রিশাদ হোসেন ৭৫/৫)
বিসিবি একাদশ প্রথম ইনিংস- ১৬০/১০ রান (মোহাম্মদ নাইম ৪৮ বলে ৪৫ রান; রাকিম কর্ণওয়াল ৪৫/৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস- ২৯১/১০ (এনক্রুমাহ বোনার ১৩৮ বলে ৮০ রান; মুকিদুল ইসলাম ৫৯/৪)
বিসিবি একাদশ দ্বিতীয় ইনিংস-৬৩/২ (ইয়াসির আলী ৫৬ বলে ৩৩ রান; রাইমন রেফার ৭/২)
এমএইচ