ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ার ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর এএফসি কাপ। ঘরোয়া ফুটবলে নতুন দল হলেও বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের অভিষেকটা হয়েছিল রাজসিক। মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে হারিয়েছিল বসুন্ধরা। এরপর করোনার জন্য স্থগিত হয়ে যায় এএফসি কাপ এবং পরবর্তীতে এএফসি টুর্নামেন্ট বাতিল করে। 

এখন করোনার দ্বিতীয় ধাপ চলছে। এর মধ্যেও এএফসি কাপের গ্রুপিং ও সূচি প্রকাশ হয়েছে। কিংস চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে খেলছে। কিংসের স্প্যানিশ কোচ শেষ থেকেই শুরু করতে চান,‘ আমরা সেবার দুর্দান্ত শুরু করেছিলাম। এবারও সে রকম করতে চাই এবং পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা রাখি ’।

গতবারের তুলনায় এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবার একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে খেলা হবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে না থাকায় গ্রুপের প্রতিটি দল তিনটি ম্যাচ খেলতে পারবে। কিংসের গ্রুপে প্রতিপক্ষ ভারতের মোহনবাগান, মালদ্বীপের মাজিয়া ও প্লে অফ থেকে আসা দল। এবারের গ্রুপিং ও লক্ষ্য নিয়ে কিংস কোচের পর্যবেক্ষণ, ‘পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে অন্তত ৭ পয়েন্ট প্রয়োজন হবে। সেই পয়েন্ট অর্জনের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। মালদ্বীপ ও ভারতের চ্যাম্পিয়ন দল হলেও কিংস দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা সেটা প্রমাণ করার সামর্থ্য রয়েছে।’ 

১৪ মে কিংসের প্রথম ম্যাচ মালদ্বীপের মাজিয়ার সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচ ১৭ মে প্লে অফ থেকে উঠে আসা দলের বিরুদ্ধে। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ ২০ মে ভারতের মোহনবাগানের সঙ্গে। ডি গ্রুপের চার দলের মধ্যে একটি দল পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে।

গ্রুপিং ও ফিকশ্চার হলেও ভেন্যুর ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএফসি। ভেন্যু সম্পর্কে কিংসের কোচ অস্কার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘যেহেতু একটি ভেন্যুতে খেলা ফলে নিরপেক্ষ ভেন্যুই হওয়া উচিত। অংশগ্রহণকারী অন্য ক্লাবগুলোও স্বাগতিক হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিংস ভেন্যু নিবে কিনা এই ব্যাপারটি ক্লাব কর্তৃপক্ষের।’

উল্লেখ্য, প্রিমিয়ার লিগের রানার্স আপ ঢাকা আবাহনী এএফসি কাপের প্লে অফ পর্ব খেলবে। প্লে অফ পর্বে মালদ্বীপ/ভূটানের ক্লাবকে পরাজিত করতে পারলে আবাহনী চূড়ান্ত পর্বে কিংসের সঙ্গী হতে পারবে।  

এজেড/এনইউ