ছবি : সংগৃহীত

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। তবে টেস্টের চিত্র ভিন্ন। এই ফরম্যাটের জন্য আলাদা একটি দল নিয়ে এসেছে সফরকারীরা। রঙিন পোশাকে দুই দলের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে আগে থেকে স্পষ্ট ফেভারিট মানলেও টেস্টে সে উপায় নেই। বাস্তবতা মানছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও। পাঁচদিনের ক্রিকেটে উইন্ডিজকে এগিয়ে রাখছেন তিনি।

প্রায় সাড়ে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। তবে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ফেভারিটের তকমা নিয়েই খেলতে নেমেছিল টাইগাররা। ফলটাও এসেছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দলের পক্ষে। ক্যারিবীয়দের ধবলধোলাই করে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগাররা। 

বাংলাদেশ সফরে পূর্ণ শক্তির দল পায়নি সফরকারীরা। মূল দলের ১০ সদস্য আসেননি করোনার কারণে, দুই জন সফর করেননি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে। একাধিক ক্রিকেটার না আসায় ওয়ানডেতে তুলনামূলক দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নেমেছিল উইন্ডিজ। তবে টেস্ট সিরিজের জন্য অভিজ্ঞ দলই নিয়ে এসেছে তারা। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটরা নিজেদের দিকে একাই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য। 

বিষয়টি মানছেন প্রাধান নির্বাচক নান্নুও। রোববার চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটটা কিন্তু খুবই আলাদা ধরণের ক্রিকেট। এটা আপনি আগাম কিছু বলতে পারবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। ওরা যে দল নিয়ে এসেছে, ওদের পেসাররা কিন্তু বেশ অভিজ্ঞ। সুতরাং আমাদেরকে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।’ 

তবে প্রতিপক্ষকে নিয়ে কম ভেবে নিজেদের পারফরম্যান্সে গুরুত্ব দিতে বললেন নান্নু, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল কাকে এনেছে, কি দল নিয়ে এসেছে, ওদের আক্রমণ কী রকম এটা চিন্তার বিষয় না। আমাদের চিন্তা হলো আমরা আমাদের সেরাটা খেলব। ওয়ানডে সিরিজে ভালো একটা রেজাল্ট নিয়ে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আশা করি টেস্ট ক্রিকেটটাও আমরা ভালো করবো।’

টিআইএস/এমএইচ