২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার গ্রহণ করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি

শিক্ষাজীবনের সেশনজটের মতো বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেও অনেক জট রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জট অন্যতম।ক্রীড়াবিদ-সংগঠকরা সঠিক সময়ে পুরস্কার পান না। অনেক ক্রীড়াবিদ সংগঠকের ভাগ্যে জীবদ্দশায় পুরস্কার জোটেও না, এজন্য মরণোত্তর পুরস্কারের সংখ্যাও বাড়ছে অনেক।
 
২০১৭ ও ১৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য কমিটি হয়েছে। সেই কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে এবার পুরস্কার যাচাই-বাছাই কমিটি একটু ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে এই কমিটির।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফেডারেশনের এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের হয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রতি ডিসিপ্লিনের প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদের অর্জনের ব্যাপারে জানতে চেয়েছে। 

মন্ত্রনালয়ের এই উদ্যোগ সম্পর্কে হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর বলেন, ‘একদিকে বিষয়টি খুবই ভালো যে, মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের কথা ভাবছে। তাদেরও অনেক অর্জন রয়েছে। আরেক দিকে বিষয়টি কষ্ট দেয়, আমাদের দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সুনির্দিষ্ট আর্কাইভ নেই। যেখানে ক্রীড়াবিদদের সকল পারফরম্যান্স লিপিবদ্ধ থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন ক্রীড়াবিদ দেশের জন্য জীবন দিয়ে লড়ে পদক আনে এরপর আবার পুরস্কারের জন্য দরখাস্ত করতে হয়। এই আবেদন সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত আমাদের।’
 
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আসাদুজ্জামান কোহিনূর অনেক দক্ষ ও সিনিয়র সংগঠক। প্রায় ৩০ বছর হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। তার চেয়ে কম দক্ষ ও জুনিয়র সংগঠকও ক্রীড়া পুরস্কার পেলেও তিনি ক্রীড়া পুরস্কার পাননি শুধু আবেদন না করার জন্য।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই আবেদন করব না। ক্রীড়া পুরস্কার না পেলেও আমার আক্ষেপ নেই এজন্য।’

সর্বশেষ ২০১৬ সালে সর্বশেষ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়।

এজেড/এমএইচ