মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে আগের দুদিনের দাপট ধরে রেখেছে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ২ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৭৫ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে টাইগাররা। আজ (সোমবার) তৃতীয় দিনেও দাপট ধরে রেখেছে সফরকারীরা। হিসেবী ব্যাটিংয়ে ব্যবধান কমাচ্ছে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের থেকে ১৫৩ রানে পিছিয়ে হাতে ৮ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং মুমিনুল হক। জয় ৭০ রানে নিয়ে খেলতে নেমে ইনিংসটাকে আর টানতে পারেননি। ৮ রান নিয়ে আবার ব্যাটিং শুরু করা অধিনায়ক মুমিনুল অপরাজিত আছেন ১৭ রান নিয়ে। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান। কিউইদের থেকে এখনও ১০৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

মুমিনুল ১৭ এবং লিটন দাস ১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।

৭০ রানে ব্যাট করতে নামা জয় আজ দ্বিতীয়বার ব্যাট উঁচানোর সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেন। প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংসের সমাপ্তি টানলেন মাত্র ৮ রান যোগ করে। ওয়েগনারের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়েছিলেন। শরীর বলের পজিশনে গেলেও শট ছিল অনিয়ন্ত্রিত। টাইমিংয়ে গড়বড় হয়। ফলে গালিতে ক্যাচ যায় অতি সহজেই। নিকোলস সেই ক্যাচ নিয়ে ওয়াগনারকে তৃতীয় উইকেটের স্বাদ দেন।

এরপর প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল ও মুশফিক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে টেস্ট ক্রিকেটের ‘আসল’ স্বাদ উপহার দেন দুজন। যদিও স্কোর বোর্ডে খুব বেশি রান এনে দিতে পারেনি এ জুটি। মুশফিক ১২ রান করে আউট হলে ভাঙে ১৯ রানের পার্টনারশিপ। এই রান তুলতে দুজন বল খেলেন ১১০টি।

রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বোলিং করছিলেন বোল্ট। নিজের পরিকল্পনাতে সফল বাঁহাতি পেসার। স্টাম্পের ওপর ফুলার লেন্থ বলের সঙ্গে হাল্কা সুইং। তাতে বল মিস করে বোল্ড মুশফিক। আগে থেকেই চিন্তা করে রেখেছিলেন বল ফ্লিক করবেন। তাতে নিজের বিপদ ডেকে আনেন ১২ রান করা মুশফিক। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৩ বল।

পরে দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি মুমিনুল। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে বাকি সেশন কাটিয়ে দেন তিনি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান। কিউইদের থেকে এখনও ১০৮ রানে পিয়েছে রয়েছে বাংলাদেশ। মুমিনুল ১৭ এবং লিটন দাস ১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।

টিআইএস/এসএসএইচ