ছবি : বিসিবি/রতন গোমেজ

বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হয়েছে গত ৩ ফেব্রুয়ারি। তার দিন দুয়েক আগে ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো গণমাধ্যমে জানান, পুরোপুরি ফিট নন সাকিব। তবুও চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে আছেন তিনি। মাঠে নেমে ব্যাট হাতে পারফর্মও করেছেন। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চোটের জায়গা কুঁচকিতে আবার ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। বর্তমানে ভালো অনুভব করছেন না এই অলরাউন্ডার।

গত ২৫ জানুয়ারি উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলতে গিয়ে কুঁচকিতে টান লাগে সাকিবের। সেই চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সেই ম্যাচে আর ফিরতে পারেননি সাকিব। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাকে। স্ক্যানের পর জানা যায়, বড় কোনো সমস্যা হয়নি তার। কিন্তু অনুশীলনে ফিরে স্বস্তি অনুভব করছিলেন না সাকিব।

সেই অস্বস্তি নিয়েই প্রথম টেস্টে মাঠে নামেন তিনি। ব্যাট হাতে অর্ধশতক হাঁকানো ইনিংসে খেলেছেন ১৫০ বল। উইকেটে ছিলেন ২৩১ মিনিট। এই সময়ে বেশ কয়েকবার দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালফেতো মাঠে প্রবেশ করে পর্যবেক্ষণ করে যান সাকিবকে। 

ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে নামেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার। উইন্ডিজের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার বল করতে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার। ওভারের দ্বিতীয় বলটি মিড অনে ঠেলে দেন ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। সেটি পা দিয়ে আটকাতে গিয়ে পূর্বের চোটের জায়গায় আবার ব্যথা অনুভব করেন সাকিব। এরপর অবশ্য মাঠেই ছিলেন তিনি।

তবে ইনিংসে ১৭তম ওভারের পর মাঠ থেকে বের হয়ে যান সাকিব। এরপর আরও ১২ ওভার খেলা চললেও মাঠে ফেরেননি তিনি। সাকিবের সবশেষ অবস্থা জানতে দলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক মনজুর হোসাইন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সাকিব অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। বর্তমানে ভালো অনুভব করছে না। তবে এখনই শঙ্কার কিছু নেই। সে এখন ফিজিওর তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন।’

টিআইএস/এমএইচ