বাংলাদেশের জয়ের জন্য ২৫০ রানই ‘যথেষ্ট’
ছবি : বিসিবি/রতন গোমেজ
দুই উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুক্রবার তৃতীয় দিনের শুরুতেই হারিয়ে বসে আরও তিন উইকেট। ১৫৪ রানে ৫ উইকেট হারানো উইন্ডিজকে টেনে তোলেন দুই ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও জশুয়া ডি সিলভা। ষষ্ঠ উইকেটে জুটি জমিয়ে তোলেন দুজন। সে সময় খেই হারিয়ে ফেলেন টাইগার বোলাররা।
১৫৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্ল্যাকউড ও ডি সিলভা ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই জুটিকে কিছুতেই ভাঙতে পারছিলেন না স্বাগতিক দলের বোলাররা। পরে ২৫৩ রানের মাথায় সফলতা আসে। ৬ রানে উইন্ডিজের শেষ ৫ উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা। ১৯৮৩ সালের পর আবার এমন পরিস্থিতির মধ্য দিতে যেতে হয় ক্যারিবীয়দের। ধারাবাহিকভাবে একই জায়গায় বল করে এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে এক ভিডিও বার্তায় তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম স্পেল খারাপ করার জন্য আমরা পরিকল্পনা করলাম কী করা যায়, যেহেতু পার্টনারশিপ বড় হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় আমরা একটা কাজ করতে পারি- ধারাবাহিকভাবে জায়গায় বল করতে পারি, তাহলে হয়ত ওরা ঝুঁকি নেবে। এই পরিকল্পনাই ছিল। এগোতে এগোতে ব্রেক থ্রু এসেছে। টেস্ট ক্রিকেট এমনই, উইকেট পড়বে না, পড়বে না, কিন্তু একটা সময় এক উইকেট পড়ার পর ক্রমাগত উইকেট পড়ে যাবে।’
প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৪৩০ রান তোলে বাংলাদেশ। উইন্ডিজের ইনিংস থামে ২৫৯ রানে। ফলে ১৭১ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪৭ রান। সব মিলিয়ে হাতে ৭ ইউইকেট রেখেই ২১৮ রানের লিড নিয়েছে টাইগাররা। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে টেস্ট চাম্পিয়নশিপের প্রথম জয়ের দেখা পাওয়ার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ?
বিজ্ঞাপন
তাইজুল বলেন, ‘এই উইকেটের জন্য তৃতীয় দিনে এটা ভালো লিড। এছাড়া কাল (শনিবার) তো ব্যাটিং করব। এই উইকেটে ২৫০ রানই যথেষ্ট। তবে একটা বিষয় আছে- আমাদের প্রথম সেশন যে রকম খারাপ বোলিং করেছি, ওরকম বোলিং করলে এই রানে জেতা কঠিন হয়ে যাবে। দ্বিতীয় সেশনে যে বোলিং করেছি, ওরকম করলে ২৫০ যথেষ্ট। তারপরও আমাদের আশা ওদের ৩০০-৩৫০ এর মত লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া।’
ম্যাচের চতুর্থ দিনের উইকেটের চরিত্র কেমন হবে এই ব্যাপারে নিজের ভাবনা জানিয়ে তাইজুল বলেন, ‘চতুর্থ দিনের উইকেট আসলে কেমন প্রত্যাশা করছি তা বলা কঠিন। তবে আজকের চেয়ে কাল একটু খারাপ থাকাই স্বাভাবিক, ব্যাটসম্যানদের জন্য। স্পিনাররা আরও বেশি ফায়দা তুলতে পারবে। যদি ভালো জায়গায় বল করে তাদের পক্ষেই থাকবে।’
টিআইএস/এমএইচ