জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েই জোড়া গোল করেছেন মতিন মিয়া (বামে)/ফাইল ছবি

জাতীয় দলের নতুন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলে জায়গা পাননি বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া ও সাইফের কুশলী ফুটবলার ফাহিম। জাতীয় দল ঘোষণার পরের দিনই জ্বলে উঠলেন তারা। মতিন করেছেন জোড়া গোল আর লক্ষ্যভেদ করেছেন ফাহিমও। 

জাতীয় দল ঘোষণার পর দিন বসুন্ধরার অ্যারেনায় কিংস-সাইফ ম্যাচ দেখতে স্প্যানিশ কোচ ক্যাবরেরা গিয়েছিলেন কোচিং স্টাফ নিয়ে। নতুন কোচকে দল গঠন নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে গণমাধ্যমকে। সেখানেই তিনি বলেছেন, ‘২৩ জন বাছাই করা বেশ কঠিন ছিল। ২৩ জনের বাইরেও বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় ছিল। ফাহিম, মতিন এদের মধ্যে অন্যতম।’

আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা গোল স্কোরিং। নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশি হওয়া এলিটা কিংসলে চলতি লিগে গোল করলেও তাকে দলে ডাকেননি ক্যাবরেরা। কোচ তাকে দলে ডাকলেও ফিফার অনুমোদন না থাকায় শেষ পর্যন্ত মাঠে নামানো যেত না। ফিফার অনুমোদন না থাকা নাকি পারফরম্যান্সের জন্য কিংসলে দলে নেই এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‌‘দলে যাদের নেয়া হয়েছে সবার পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই।’ 

সাদ উদ্দিন, রহমত, সুফিলদের মতো পরীক্ষিত পারফমার জায়গা পাননি ক্যাবরেরার দলে। এই প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, ‌‘বিপিএলের ম্যাচগুলো দেখেছি। অতীতে কে কি করেছে তার চেয়ে বর্তমান পারফরম্যান্সকেই মূল্যায়ন করেছি।’ 

জাতীয় দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকও ক্যাবরেরার দল দেখে সেটাই বললেন, ‘একাদশে যারা নিয়মিত খেলেছে কোচ তাদের মধ্যে থেকেই বেছে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড তাই তিনি নিয়মিত খেলাদেরকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।’ 

১৯ মার্চ কিংস অ্যারেনায় জামালদের নিয়ে প্রথম মাঠে নামবেন ক্যাবরেরা। ২২ মার্চ মালের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ২৪ মার্চ মালদ্বীপের বিপক্ষে আর ২৯ মার্চ সিলেটে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচের ফলাফলের উপর ফিফা র‍্যাঙ্কিং ওঠানামা করবে। 

এজেড/এনইউ