চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ যেভাবে খেলছে, তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১৪তম শিরোপার আশাও দারুণভাবেই দেখছে দলটি। পিএসজি, চেলসির পর ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষেও অনেকটা পাশার দান উলটে দিয়েই ফাইনালে উঠে গেছে দলটি। তবে রিয়ালের এমন ফর্মও মন ভরাতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি পিটার স্মেইকেলের। তিনি জানালেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলার কোনো অধিকার নেই রিয়াল মাদ্রিদের!

বিষয়টা পিএসজির বিপক্ষে হয়েছে, দুই লেগের লড়াইয়ের ১৫০ মিনিট পিছিয়ে থেকে শেষ ৩০ মিনিটের জাদুতে জিতেছিল রিয়াল; হয়েছে চেলসির বিপক্ষেও, প্রথম লেগে জিতলেও দ্বিতীয় লেগে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ বের করে এনেছিল অ্যানচেলত্তির শিষ্যরা। 

তেমনটা গত রাতেও ঘটিয়েছে রিয়াল, সিটির বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-৩ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগে ৯০ মিনিট পর্যন্ত কোন সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি। আর এ কারণেই স্মেইকেলের মনে হচ্ছে, এই দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলার যোগ্যতা নেই। 

সিবিএস স্পোর্টসের ম্যাচপরবর্তী আলোচনায় তিনি বলেন, ‘তাদের প্রথম গোলের সুযোগটা ছিল ৯০ মিনিটে, দ্বিতীয় গোলটা এসেছে দ্বিতীয় সুযোগ থেকে। তারা তৃতীয় বার যখন গোলমুখে শট নিলো, তখনই তারা তৃতীয় গোলটা পেলো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলার কোনো অধিকার নেই রিয়াল মাদ্রিদের। দুই ম্যাচ মিলিয়ে সিটি থেকে কয়েক মাইলের ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল তারা।’

দুই লেগের প্রথমটাতেও ম্যানচেস্টার সিটির দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। নিজেদের মাঠ এতিহাদে তো গোলের পরিষ্কার সুযোগই এসেছিল কম করে হলেও আটটা। এরপর দ্বিতীয় লেগে এভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়েও বিদায়, বিষয়টা স্মেইকেল মেনেই নিতে পারছেন না। 

বললেন, ‘আমার ম্যানচেস্টার সিটির জন্য খারাপই লাগছে। আমাকে বলতেই হবে এটা। কারণ আমার মতে, ৯০ মিনিটে সেই গোলটা হজমের আগ পর্যন্ত তারা দারুণ খেলেছে, সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খেলেছে।’

সিটির এমন হারের পর গার্দিওলার একটা বদলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশ। ম্যাচের ৭২ মিনিটে প্রাণভোমরা কেভিন ডি ব্রুইনাকে তুলে নিয়েছিলেন সিটি কোচ। সেটা আলোচনায় উঠে এলো স্মেইকেলেরও। বললেন, ‘মাঝমাঠে রদ্রি দুর্দান্ত ছিল। আমি কিছুর সমালোচনা করছি না, কিন্তু আপনি যখন ডি ব্রুইনার মতো একজন খেলোয়াড়কে হারাবেন, আর খেলাটা এমন হয়ে যাবে, তখন শেষ ৩০ মিনিটে তাকে আপনি মিস করবেনই।’

এনইউ