সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাব। বাফুফে ভবনের পাশেই এই ক্লাবে সাবেক ফুটবলারদের আড্ডা, বৈকালিক খেলা হয় নিয়মিত। সেই আড্ডা ও খেলার নিত্যসঙ্গী ছিলেন আবদুর রশিদ। গতকাল বিকেলেও ক্লাবে খেলছিলেন। সেই রশিদ আজ চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে।

আজ সকালে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এই ফুটবলার। ৬১ বছর বয়সেই স্ত্রী, ২ ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে চলে গেলেন রশিদ।

আশির দশকে ওয়ারী, আজাদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হয়ে খেলেছেন। ওয়ারী ক্লাবে রশিদের সতীর্থ বাফুফে সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী সেই সময়ের কথা স্মরণ করলেন, ‘রশিদ ভাই যেমন ভালো ফুটবলার ছিলেন, তার চেয়ে বেশি ভালো মানুষ। নিয়মিত অনুশীলন, তরুণদের সহযোগিতা ছিল তার চরিত্রের অন্যতম অংশ।’ 

জাতীয় দলে কখনো খেলেননি এমনকি ক্লাব পর্যায়েও তেমন তারকা ফুটবলার ছিলেন না। খেলা ছাড়ার পর সোনালী অতীত ক্লাবই ছিল তার ঠিকানা। প্রতিদিনই আসতেন ক্লাবে। সোনালী অতীত ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন একাধিকবার। ক্লাবের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে ছিল তার সরব উপস্থিতি।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার ও সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি হাসানুজ্জামান খান বাবলু রশিদের মৃত্যুতে ব্যথিত, ‘সোনালী অতীত ক্লাব তার এক অকৃত্রিম বন্ধুকে হারাল। আমরা সবাই রশিদের জন্য ব্যথিত।’ রশিদের মৃত্যুতে বাফুফে, সোনালী অতীত ক্লাব ও বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা শোক জানিয়েছে। 

এজেড/এনইউ