বিকল্প রেফারি দিয়ে চলল বাংলাদেশ লিগের ম্যাচ
দেশের শীর্ষ রেফারি ও সহকারী রেফারিরা তাদের অবস্থানে অনড়। আজ রোববার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচে তারা অংশ নেননি। বাফুফের রেফারিজ বিভাগ আজকের দুই ম্যাচের জন্য চার জন করে আট জন রেফারি-সহকারী,চতুর্থ রেফারি দিয়েছিলেন। সেই রেফারিদের কেউই আজকের ম্যাচে যাননি। বাধ্য হয়ে অন্য রেফারিদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করেছে বাফুফের রেফারিজ বিভাগ।
আজ থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচ পরিচালনা করা হবে না- এমন কড়া বার্তা গতকাল বাফুফেকে জানিয়েছে। এরপর থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ও অন্য কর্মকর্তারা রেফারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু রেফারিরা তাদের অবস্থান থেকে সরেনি। ফলে শীর্ষ স্তরের রেফারিদের পরিবর্তে অন্য রেফারিদের দিয়ে খেলা পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছে বাফুফে।
বিজ্ঞাপন
বাফুফে আজ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দশ কার্যদিবসের মধ্যে রেফারিদের দাবি দাওয়া পূরণে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়েছে। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই অবস্থানের উপরও বিশ্বাস নেই রেফারিদের। এখানেও কিছুটা শুভঙ্করের ফাকি দেখেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেফারি, ‘দশ কার্যদিবসের মধ্যে চ্যাম্পিয়নশীপ লিগের খেলা শেষ হবে। কার্যদিবস শেষে প্রিমিয়ার লিগও শুরু হওয়ার সময় চলে আসবে। আমরা চাই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত এবং নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ জুনের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগের অর্থ প্রাপ্তি। শুধু সিদ্ধান্তেই আমরা সন্তুষ্ট নই।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফেডারেশন রেফারিদের ম্যাচ ফি খুব স্বল্প পরিমাণ বাড়াতে চায় সেটাতে সম্মতি নেই রেফারিদের।
বিজ্ঞাপন
যে কোনো খেলায় শৃঙ্খলা আবশ্যক। রেফারিং, আম্পায়ারিং সেটা আরো বেশি। রেফারিদের অনেক দাবি যৌক্তিক এবং ফেডারেশন দশ কার্য দিবস সময় চেয়েছে। এরপরও বাফুফের রেফারিজ বিভাগ ম্যাচের জন্য যেসব রেফারি-সহকারি রেফারিকে বরাদ্দ করবেন তারা ম্যাচ পরিচালনায় অস্বীকৃতি করলে তাদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেবে না কি সেই বিষয় স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেনি রেফারিজ কমিটি ও বিভাগ।
এজেড/এটি