ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে লিভারপুলের শেষ ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়কদের অনুপস্থিতিতে সম্ভাবনা ছিল মোহামেদ সালাহর অধিনায়কত্ব পাওয়ার। কিন্তু শেষমেশ সেটা জোটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কপালে। অধিনায়কত্ব না পেয়ে কিছুটা হতাশও হয়েছিলেন সালাহ। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বার্সেলোনা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ারও। তবে সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। জানালেন অল রেডদের হয়ে সুখেই আছেন মিসরীয় এ স্ট্রাইকার।

গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক এএসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সালাহ বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা দুটো শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব। ভবিষ্যত আমাদের জন্যে কি নিয়ে অপেক্ষা করছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

লিভারপুলের হয়ে অনেক কীর্তি গড়েছেন সালাহ। তবু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সদ্যসমাপ্ত গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অধিনায়কত্ব পাননি তিনি। এ কারণে কিছুটা আশাহত হয়েছিলেন সালাহ। তিনি বলেছিলেন, ‘সত্যি বলতে কিছুটা আশাহত তো হয়েছিলামই! অধিনায়ক হবার আশায় ছিলাম আমি। তবে দিনশেষে এটা কোচের সিদ্ধান্ত, একে মেনে নিয়েই খেলতে হবে।’

সে সাক্ষাতকারের পরই বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে ঘিরে বেশ গুঞ্জন শুরু হয় সালাহর। তবে সেসব উড়িয়ে দিয়ে ক্লপ জানান, সালাহ বেশ ভালো আছেন লিভারপুলে। বললেন, ‘আমরা চুক্তি নিয়ে কথাই বলি না। মো এখন ভালো মূহুর্ত কাটাচ্ছে লিভারপুলে, মানসিকভাবেও বেশ ভালো অবস্থা ওর। এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ওকে দেখলে দেখবেন প্রচুর হাসছে সে! বাকি যা লিখবেন, তা আপনার ব্যাপার। কিন্তু এখানে তেমন কিছুই হচ্ছে না।’

গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন ক্লপ নিজেই। ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে প্রথম একাদশ থেকে সালাহকে বাদ দিয়ে। তবে গত শনিবারের ম্যাচে বেঞ্চ থেকে নেমেই দুটো গোল করেন সালাহ, সতীর্থকে দিয়ে করানও একটি। তাতে দলও পায় প্রতিপক্ষের মাঠে ৭-০ গোলের বড় এক হয়।

মৌসুমের শুরুতে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ৭-২ ব্যবধানে হেরেছিলো ক্লপের দল। জার্মান এই কোচের ধারণা ক্রিস্টালের মাঠে সাত গোলের এই জয়ে ভিলার মাঠে পাওয়া বড় হারটার গ্লানিও মুছে দিয়েছে।

বললেন, ‘৭-০ এর দেখা সচরাচর দেখবেন না আপনি। এই জয়ের পর আমার ধারণা আমরা ভিলার বিপক্ষে ম্যাচটাকে মুছে দিতে পেরেছি। খেলোয়াড়রা যেন ওটা নিয়ে না ভাবে সেজন্যে সেই ম্যাচটার কথা খুব একটা আলোচনাও করতাম না আমরা। সেটা মান নির্ধারক নয়। ভালো দিন, দারুণ ফিনিশিং। তাদের বিপক্ষে খেলাটা কঠিন ছিলো, ছেলেরা সেটা বুঝতে পেরেছিল।’

এনইউ