হেরে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন বয়কট জেমির!
ফাইনাল শেষে নেপাল ও বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অপেক্ষা। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর নেপাল ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া ম্যানেজার শৈলেন্দু বলেন, ‘বাংলাদেশের কোচ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন না। তাকে দেখলাম রাগান্বিত হয়ে টিম নিয়ে রওনা হতে।’
বাংলাদেশ দল ২-১ গোলে হেরে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে রানার্স আপ। বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে বরাবরই বলে আসছিলেন, ট্রফি নয় খেলোয়াড়দের দেখতেই নেপালে এসেছেন। চ্যাম্পিয়ন না হলেও সেই দৃষ্টিকোণ থেকে অসন্তুষ্ট হওয়ার কথা নয় কোচ জেমি ডের। কিন্তু এরপরও কেন সংবাদ সম্মেলনে আসলেন না সেটা একটা বড় প্রশ্ন।
বিজ্ঞাপন
জেমি ডের একাদশ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছিল। ফাইনাল ম্যাচে অভিজ্ঞদের বদলে তিনি গত দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সের বিবেচনায় একাদশ গড়েছিলেন। ফলে ডিফেন্সে দুর্বলতা থেকে যায়। বাংলাদেশ প্রথমার্ধেই ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে অভিজ্ঞ টুটুল হোসেন বাদশা, আব্দুল্লাহ, সুফিলদের নামানোর পর ম্যাচে গতি ফেরে। ৮২ মিনিটে বদলি ফুটবলার সুফিলই দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রথম ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা ও সিনিয়র ফুটবলার সোহেল রানাকে ম্যাচে এক মিনিটের জন্যও নামাননি কোচ। পাশাপাশি ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশাকেও নামিয়েছেন দ্বিতীয়ার্ধে।
অনেকের মতে, কোচের অতিমাত্রায় পরীক্ষা নিরীক্ষার কারণে প্রথমার্ধেই ম্যাচ হাত ছাড়া হয়েছে। জেমি সংবাদ সম্মেলনে আসলে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত হওয়ায় আপাতত অতি মাত্রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায় পুরোটাই নিতে হচ্ছে জেমিকে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের প্রত্যাশা ছিল নেপালের বিরুদ্ধে দুই গোলের ব্যবধানে জেতার। উল্টো বাংলাদেশ ১-২ গোলে হেরে গেছে।
এজেড/এমএইচ