ম্যাচের শুরু থেকেই কেমন দিশেহারা বাংলাদেশ। পনেরো বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটানোর লড়াই। কিন্তু তবুও ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের বেহাল দশা। ফাইনালে দশরথের গ্যালারি ছিল প্রায় পরিপূর্ণ। নেপাল, নেপাল ধ্বনিতে উজ্জীবিত স্বাগতিকরা। 

প্রথম থেকে দেওয়া চাপ কাজে লাগিয়ে ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় নেপাল। কর্নার থেকে সুনীল বালের শট বক্সের মধ্যে ক্লিয়ার করতে পারেননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। সঞ্জয় রায়ের বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া শট গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করেন। 

গোল খাওয়ার পর আরও বেশি খাপ ছাড়া ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ভুল পাস, ভুল পজিশনের ছড়াছড়ি ছিল। ২৯ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় নেপাল। কাউন্টার অ্যাটাকে আগুয়ান গোলরক্ষক জিকোর মাথার উপর দিয়ে ফাকা জালে বল পাঠাতে পারেননি ফরোয়ার্ড অনজন বিষ্ঠা। 

২৮ মিনিটে সুযোগ আসে বাংলাদেশেরও। কিন্তু জামালের নেওয়া কর্নার কিক ডি-বক্সের ভেতরে হাওয়ায় ভেসে আসা বলটা ঠিকমতো হেড করতে পারেনি কেউ। বল ক্লিয়ার করে বলের দখল নেয় রোহিদ চান্দরা।

৪২ মিনিটে আবার ডিফেন্ডারদের ভুলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। তাদের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে বিশাল রায় বক্সের উপর থেকে শট করে গোল করেন। এই গোলে পিছিয়েই বিরতিতে যায় জেমি ডে শিষ্যরা। 

এমএইচ