ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ

দুই গোল খেয়ে বাংলাদেশ দিশেহারা ছিল। প্রথমার্ধে সেভাবে আক্রমণও করতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে এসে নেপালকে এক গোল শোধ দিয়েছে জেমি ডের শিষ্যরা।  ৮২ মিনিটে অধিনায়ক জামালের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল।

দুই গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ 

প্রথম গোলটা এসেছিল ১৮ মিনিটে। দ্বিতীয়টি এলো ৪২ মিনিটে। বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে নেপালের বিশাল রায় বক্সের উপর থেকে শট করে গোল করেন।  ১৫ বছর পর বিদেশের মাটিতে ফাইনাল খেলতে গিয়ে কাজ করছিল যে রোমাঞ্চ, সেটা যেন খানিকটা ফিকে হয়ে গেল বিরতির আগেই দুই গোল হজম করে। 

এক গোলে এগিয়ে নেপাল 

ম্যাচের শুরু থেকে চাপে বাংলাদেশ। ফাইনালে দশরথের গ্যালারি ছিল প্রায় পরিপূর্ণ। ‘নেপাল’, ‘নেপাল’ ধ্বনিতে উজ্জীবিত স্বাগতিকরা। ১৮ মিনিটে লিড তাদের। কর্নার থেকে সুনীল বালের শট বক্সের মধ্যে ক্লিয়ার করতে পারেননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। সঞ্জক রায়ের বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া শট গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করেন। 

গোলে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ কিছুটা এলেমেলোা ফুটবল খেলে। ভুল পাস, ভুল পজিশনের ছড়াছড়ি ছিল। ২৯ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে আগুয়ান গোলরক্ষক জিকোর মাথার উপর দিয়ে ফাকা জালে বল পাঠাতে পারেননি ফরোয়ার্ড অনজন বিষ্ঠা।

বাংলাদেশের খেলা দেখতে হাজির নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও হোয়াটমোর

দশরথ স্টেডিয়ামে দুই দল নামার অপেক্ষায়। হঠাৎ দৃশ্যপট বদলে গেল। ক্যামেরার ফ্লাশ বয়স্ক এক লোকের কাছে। লোকটি যে ডেভ হোয়াটমোর। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী কোচ। এই অস্ট্রেলিয়ান এখন নেপাল জাতীয় দলের কোচ। আগে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচও।
 
ম্যাচ শুরুর আগে ম্যাচ ব্রডকাস্টার চ্যানেলকে কিছুক্ষণ সময় দিলেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীরা কথা বলতে চাইলে গ্যালারিতে বসেন। ম্যাচের বিরতিতে কথা বলতে পারেন হোয়াটমোর। টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।

১৫ বছর পর বিদেশের মাটিতে ফাইনাল খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছেন জামালরা।  ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কিরগিজিস্তান অনূর্ধ-২৩ দলের বিপক্ষে এক গোলের জয় ও নেপালের সঙ্গে ড্র করে ফাইনালে উঠেছে জেমি ডের শিষ্যরা। 

ফাইনালে বাংলাদেশের একাদশ- 

আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক) , রিয়াদুল হাসান রাফি, সাদ উদ্দিন, মেহেদী হাসান রয়েল, জামাল ভূঁইয়া, রিমন, মতিন মিয়া, সুমন রেজা, রাকিব হোসেন, মানিক মোল্লা ও মেহেদী হোসেন।

এমএইচ