কষ্টার্জিত জয়ে গ্রুপ সেরা বসুন্ধরা
ছবি : সংগৃহীত
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে বসুন্ধরা কিংস। ড্র হলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে, এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমেছিল ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল তারা।
৪৯ মিনিটে রবসনের কর্ণার কিকে ফ্লাইট মিস করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক নাইম। মাথা নিচু করা হেডে গোল করেন রাউল বেসেরা। এই গোলেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো কিংস। ৮ নম্বর জার্সিধারী ফার্নান্দেজের কর্ণার কিক থেকে বল পেয়ে হেডের জন্য লাফিয়েছিলেন ইরানিয়ান ডিফেন্ডার খালেদ শাফেই। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তার হেড। গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
বিজ্ঞাপন
২৩ মিনিটের সময় পেনাল্টির জোর আবেদন জানায় বসুন্ধরা কিংস। খালেদ শাফিই লম্বা থ্রোতে ডি বক্সের ভেতর বল নিক্ষেপ করেন। বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবলের জোরালো আবেদন জানায় কিংস। পেনাল্টি দাবি করেন ফার্নান্দেজরা।
কিন্তু রেফারি মিজানুর রহমান তাতে কর্ণপাত না করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। সাইডলাইনে দাঁড়ানো বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোন রেফারির সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়ে যান। অবশ্য প্রথমার্ধের হতাশা দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই দূর করে কিংস।
৫৭ মিনিটে মাহবুবুর রহমান সুফিল আবারও ডি বক্সের ভেতর থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। ৬৭ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর রকিকে শট নিতে দেননি খালেদ শাফিই। কর্ণারের বিনিময়ে গোল বাঁচান বসুন্ধরা কিংসের ইরানি ডিফেন্ডার।
বিজ্ঞাপন
বসুন্ধরা কিংস ২ ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চট্টগ্রাম আবাহনী রানার্সআপ হয়ে নিশ্চিত করছে নিজেদের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। গত আসরের টুর্নামেন্টের রানার্স আপ রহমতগঞ্জ এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে।
বসুন্ধরা-চট্টগ্রাম আবাহনীর কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ হবে এ গ্রুপের শেখ রাসেল, শেখ জামাল ও পুলিশের মধ্যে যেকোনো দুই দল।
এজেড/ এমএইচ