গত বছর করোনার প্রকোপ ও লকডাউনের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল। বছর ঘুরে আবার করোনার প্রকোপ বেড়েছে। চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলমান আসর মাত্র অর্ধেক শেষ হয়েছে। 

প্রথম লেগ শেষ হয়েছে গত ৭ মার্চ। ৯ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় লেগ শুরুর কথা থাকলেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউনের জন্য ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে লিগ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ভবিষ্যত লকডাউনে ‘লক’ হওয়ার মতো অবস্থা। 

চলমান পরিস্থিতির পাশাপাশি আবার আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ত সূচি রয়েছে মে-জুনে। ১৪ মে এএফসি কাপের চূড়ান্ত পর্ব শুরু। ৩১ মে-১৫ জুন কাতারে জাতীয় দলের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচ। লিগে লম্বা ছেদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আবার অনেকে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে এখানেই লিগের সমাপ্তি দেখছেন! 

তবে বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী সম্পূর্ণ লিগ শেষ করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, ‘এবার সম্পূর্ণ লিগ শেষ হবে, এটা চূড়ান্ত। লিগের সমাপ্তি হতেই হবে। দেশের ফুটবলে ক্লাবগুলোর বিনিয়োগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে।’ 

চলমান লকডাউন ২০ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। এরপর লকডাউন বর্ধিত না হলে বাফুফের লিগ আয়োজনে সুবিধা হবে। যদি লকডাউন আরও বাড়ে সেক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে পারে বাফুফে। লকডাউনের সময়সীমা যত বাড়বে তখন ক্লাব ও জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচি আরো কাছাকাছি এসে পড়বে। এই প্রসঙ্গে বাফুফের লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদি বলেন, ‘আগামী শনি অথবা রবিবার লিগ কমিটির ভার্চুয়াল সভা করব। ক্লাবগুলোর মতামত নেয়ার পাশাপাশি তাদের বর্তমান অবস্থা জানব।’ 

বাফুফের সার্কুলার অনুযায়ী লকডাউন শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু করবে। পরিস্থিতির বিবেচনার বাফুফে এই সাত দিন পরবর্তী সময়সীমা থেকে একটু সড়ার ইঙ্গিত দিলেন লিগ কমিটির চেয়ারম্যান,‘লিগ পুনরায় শুরুর ব্যাপারে দুই-তিনটি বিষয় বিবেচনা করব। ফুটবলাররা যাতে ফিট হয়ে লিগ খেলতে পারে। ফুটবলাররা আনফিট ও ইনজুরিতে পড়ুক সেটা আমাদের কারো কাম্য নয়। আরেকটি বিষয় ক্লাবগুলো যাতে সমস্যায় না পড়ে। খেলোয়াড় ও ক্লাবের স্বার্থ বিবেচনা করেই আমরা সুষ্ঠমতো লিগ শেষ করার আশা করছি।’

আসন্ন ভার্চুয়াল লিগ কমিটির সভায় লিগের দ্বিতীয় লেগ শুরুর সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হলেও কয়েকটি নীতিগত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর এএফসি কাপ ম্যাচ রয়েছে। এএফসি কাপ চলার সময় অন্য ক্লাবগুলোর ম্যাচ চালিয়ে রাখার বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে। কারণ লিগের মেয়াদ বাড়লে ক্লাবগুলোর খরচও বাড়ে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু এখন ঢাকা, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ ও টঙ্গী। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সব ভেন্যুই থাকবে নাকি কোনো সেন্ট্রাল ভেন্যুতে খেলা হবে সেটাও দেখার বিষয়।

এজেড/এটি