‘মাছে ভাতে বাঙালি’ এই প্রবাদের সঙ্গে মিশে রয়েছে বাঙালির জাতি সত্ত্বা। বাংলাদেশের সুস্বাদু মাছের ভক্ত অনেক বিদেশিরাই। বিশেষ করে ইলিশ মাছ হলে তো কথাই নেই। তিন বছরের বেশি সময় বাংলাদেশ ফুটবল দলকে কোচিং করাচ্ছেন ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। 

এতোদিন কোচিং করালেও বাংলাদেশের মাছ নিয়ে তার বিশেষ কোনো আকর্ষণ জন্মায়নি, ‘আসলে আমি মাছ সেভাবে খাই না। মাছের প্রতি আকর্ষণ কম।’ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের প্রশংসা সারা বিশ্বজুড়ে। সেই ইলিশও খুব একটা খাওয়া পড়েনি জেমির, ‘মনে হয় মহসিন (জাতীয় দলের সাপোর্টিং স্টাফ) দু’একবার ইলিশ মাছ খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। ভালোই স্বাদ ছিল। ’

পহেলা বৈশাখে অনেক বিদেশিই পান্তা-ইলিশ উৎসব উন্মাদনায় মাতে। পান্তা-ইলিশের পাশাপাশি পাঞ্জাবিও পরে। ইলিশ দুয়েকবার খাওয়া হলেও কখনো পাঞ্জাবি পরা হয়নি জেমির, ‘এপ্রিলে অধিকাংশ সময় আমার ছুটি থাকে। এজন্য বাংলা নববর্ষ সেভাবে দেখতে পারিনি। আমি কখনো পাঞ্জাবি পরিনি।’

এই বছর ও গত বছর করোনার জন্য পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়নি। অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ে অবশ্য ঘরোয়া ফুটবল চলমান থাকলে ক্লাব টেন্টে অনেক বিদেশি ফুটবলার, কোচরা পান্তা-ইলিশে রসনা তৃপ্ত করেন। অনেকে পাঞ্জাবি পড়েও ঘুরে বেড়ান। এবার লিগ চলমান থাকলেও পহেলা বৈশাখ রোজার দিনে পড়ায় ক্লাবগুলো কোনো আয়োজন করেনি। 

এজেড/এটি/এমএইচ