ম্যানসিটি ও টটেহ্যামের ম্যাচ করোনায় স্থগিত, চিন্তিত নয় কর্তৃপক্ষ
ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের নতুন স্রোত আবারও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। ইতোমধ্যেই টটেনহ্যাম হটস্পার ও ম্যানচেস্টার সিটির একটি করে ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে। তবে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে চিন্তিত নয় আদৌ। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুম চলবে নিজের গতিতে, আর এ ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তারা।
গত বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টটেনহ্যাম ফুলহ্যামের বিপক্ষে খেলার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা আগে সেটিকে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর আগের দিন এভারটনের মাঠ গুডিসন পার্কে ম্যানচেস্টার সিটির খেলাও স্থগিত হয় একই কারণে। নিজেদের দলে করোনা সংক্রমণ সত্বেও সিটি অবশ্য অনুশীলনে ফিরেছে সূচি মেনেই। জানাচ্ছে, আগামী রবিবার চেলসির বিপক্ষে ম্যাচটি সময়মতোই অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞাপন
ডিসেম্বরের ২১ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় ও স্টাফ মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বমোট ১৮ জন। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শুরুর পর থেকে এত বেশি আর কখনোই করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যেই আবারও কঠোর হয়ে উঠেছে সরকার। যদিও প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ বলছে যে, তাদের সুরক্ষা নীতিমালাগুলো লিগ চালু রাখার জন্যে যথেষ্ট।
বিজ্ঞাপন
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘প্রিমিয়ার লিগের একটা বড় অংশ থেকে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে নিজেদের কোভিড-১৯ নীতিমালা নিয়ে লিগ এগোবে সূচি মেনেই, আর এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।’
শেষ এক সপ্তাহে ১৮টি করোনাভাইরাস সংক্রমণ কর্তৃপক্ষকে নতুন করে লিগ স্থগিত করার কথা ভাবাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ‘লিগের কোভিড-১৯ নীতিমালায় সরকারের পূর্ণ সমর্থন আছে। খেলোয়াড় ও সদস্যদেরকে প্রাধান্য দিয়ে ক্লাবগুলো যেভাবে নীতিমালা ও নিয়ম অনুসরণ করছে, তাতে লিগ কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সহযোগিতা আছে।’
টটেনহ্যামের ম্যাচটি যে ফুলহ্যামের অনুরোধেই স্থগিত করা হয়েছে, সে ব্যাপারটিও নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ, ‘নিজেদের দলে করোনা সংক্রমণ ও খেলোয়াড়দের কয়েকজন্যের মাঝে উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগ বোর্ডের কাছে ম্যাচটি পিছিয়ে দেয়ার আবেদন জানায় ফুলহ্যাম। প্রিমিয়ার লিগ বোর্ড এরপর মেডিক্যাল উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং খেলোয়াড় ও সদস্যদের সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে ম্যাচটা পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দলটিকে অচিরেই আবারও করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
এনইউ