পুরুষ ফুটবল লিগ শুরুর আগে প্রায় প্রতি মৌসুমে রেফারিং আইনকানুন নিয়ে কর্মশালা হয়। নারী ফুটবল লিগে এ রকম আয়োজন হয়নি এতদিন। আজই (বুধবারই) প্রথম নারী ফুটবল লিগে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিয়ে রেফারিং আইন কানুনের ব্যাপারে সেমিনার হয়। আজ নারী ফুটবল লিগের তিনটি ক্লাবের ফুটবলার, কোচ ও কর্মকর্তারাও সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন। আগামীকাল নেবেন বাকি দলগুলো। বাফুফের হেড অফ রেফারিজ আজাদ রহমান ইন্সট্রাকটর ও শহিদুল ইসলাম লিমন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে সেমিনার পরিচালনা করছেন।

নারী ফুটবল লিগে এখন মধ্যবর্তী দলবদলের জন্য বিরতি। এই সময় বাফুফে নারী ফুটবলার ও সংশ্লিষ্টদের রেফারিং ও ফুটবলের আইনকানুন নিয়ে এই উন্নয়নমূলক কাজ করছে। আগে যা হয়নি কখনো। 

নারী ফুটবল লিগের যাত্রা শুরু হয়েছে এক দশকের কম সময়। নারী লিগ মাঝে অনিয়মিত হলেও গত বছর থেকে টানা হচ্ছে। চলতি বছর প্রথম লেগ শেষে রেফারিং নিয়ে খানিকটা প্রশ্ন ও সমালোচনা হচ্ছে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাফুফের রেফারিজ বিভাগ ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে রেফারির অন ফিল্ড সিদ্ধান্ত সঠিক পাচ্ছে।

বাংলাদেশের ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে পুরুষদের চেয়ে নারী ফুটবলে সাফল্য তুলনামূলকভাবে বেশি। অনূর্ধ্ব পর্যায়ে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেন নারী ফুটবলাররা। রেফারিংয়ের সঠিক আইন জানা থাকলে আন্তর্জাতিক ম্যাচে নারী ফুটবলাররা আরও বেশি সচেতন হবে।

এজেড/এমএইচ