ছবি: সংগৃহীত

মস্তিষ্কে চোট পেলে বদলি, বিষয়টা ক্রিকেটে প্রচলিত হলেও ফুটবলে এটা ব্রাত্যই ছিলো এতদিন। অথচ শারীরিক যোগাযোগের খেলা ফুটবলে এর প্রয়োজনীয়তা ঢের বেশি! অবশেষে এ নিয়ে টনক নড়েছে ফিফার। ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ হলেও ফুটবলে আসছে ‘কনকাশন বদলি’।

করোনার কারণে পিছিয়ে যাওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে হবে এর ট্রায়াল। সম্প্রতি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ফিফায়। সেখানে আরও বলা হয়েছে, পাঁচ বদলি তো থাকছেই, প্রয়োজনবোধে আরও একটা ‘কনকাশন বদলি’ পাবে দলগুলো, তবে প্রয়োজন না পড়লে একই ম্যাচে প্রতিপক্ষ এই সুবিধা পাবে না।  
ফিফার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা শেষে ২০২০ এর ডিসেম্বরে আইএফএবি-এর বার্ষিক বানিজ্যিক সভায় বাড়তি কনকাশন বদলির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

‘যদি কোনো প্রকারের সন্দেহ থাকে, খেলোয়াড়টিকে আরেকটা কনকাশন পাওয়ার আগেই যেন ম্যাচ থেকে তুলে নেয়া হয়, সিদ্ধান্তটা মূলত এই শক্ত বার্তাটা দিতেই নেয়া হয়েছে। একাধিক মস্তিষ্কে চোটের পরিণতি বেশ বাজে হতে পারে, মেডিক্যাল সদস্যদের তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতেও সাহায্য করবে এই সিদ্ধান্ত। আর এই সাধারণ সিদ্ধান্তটা খেলাটার সব পর্যায়েই প্রযোজ্য হবে।’

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাতারে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, যেখানে প্রথমবারের মতো কনকাশন বদলি ব্যবহার করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর টোকিওতে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকেও এ নিয়ম ব্যবহৃত হবে।

এদিকে প্রিমিয়ার লিগ আর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) কনকাশন বদলির পরীক্ষামূলক ব্যবহারের ব্যাপারে ভাবছে। তবে ফিফার নিয়ম থেকে এফএর ধারণাটা খানিকটা আলাদা। সেখানে প্রথাগত তিনটি বদলির পর আরও দুটো কনকাশন বদলি চাইলে ব্যবহার করতে পারবে দলগুলো, যা হলে প্রতিপক্ষও পাবে এই বদলির সুবিধা। 

সম্প্রতি উলভারহ্যাম্পটনের রাউল হিমেনেজ মস্তিষ্কে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগে থেকে দাবি উঠলেও, গত নভেম্বরে সে ঘটনার পর থেকেই জোরালো হয় ফুটবলে কনকাশন বদলি প্রবর্তনের দাবি।

এনইউ