বিনামূল্যেই ‘ফুটবল পরিবার’কে ভ্যাকসিন দেবে বাফুফে
ফাইল ছবি
জানুয়ারির শেষের দিকে ভ্যাকসিন আসতে পারে বাংলাদেশে। দেশের অন্য সব নাগরিকের মতো ক্রীড়াবিদদের মধ্যেও ভ্যাকসিন নিয়ে বেশ আগ্রহ কাজ করছে। এই মুহূর্তে দেশে চলছে জাতীয় হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ ক্রিকেট সিরিজের প্রস্তুতি। এই তিন প্রতিযোগিতার মধ্যে ফুটবল লিগে বেশি মানুষের সম্পৃক্ততা। ১৩টি ক্লাবে ৩০ জন করে রেজিস্টার্ড ফুটবলার রয়েছেন। শুধু ফুটবলার সংখ্যাই প্রায় ৪০০ জন। এর সঙ্গে কোচিং ও ক্লাব স্টাফ মিলিয়ে আরো প্রায় এক শ’জন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রাথমিক ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোকে ভ্যাকসিন যোগাড় করে দেবে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ক্রীড়াবিদদের জন্য আলাদা ডোজ বরাদ্দ চেয়েছেন। আমাদের অভিভাবক সংস্থা মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, অলিম্পিকের নিশ্চয়ই একটা পরিকল্পনা থাকবে। এর বাইরে আমরা আলাদাভাবে কিছু ভ্যাকসিনের ডোজ যোগাড় করব। যেগুলো প্রথমে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোকে দেব। এরপর পর্যায় ক্রমে প্রথম থেকে পাইওনিয়ার এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকেও দেব। ’
বিজ্ঞাপন
বাফুফের ডোজ বন্টন পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ক্লাবকে ৩০-৫০ টি’র মতো ডোজ দিতে পারি। সেই ডোজগুলো তারা তাদের প্রয়োজনীয় স্টাফদের মধ্যে বিতরণ করবে।’
বাফুফে ভবনে স্টাফের সংখ্যা পঞ্চাশ জনের বেশি। বিদেশি কোচরাও রয়েছে। এই প্রসঙ্গে সোহাগ বলেন, ‘আমরা সমগ্র ফুটবল পরিবার নিয়ে ভাবছি। শুধু ফুটবলাররাই নয়, কোচ, সংগঠক, রেফারি সবাই আমাদের পরিকল্পনায় আওতাভুক্ত। বিদেশি কোচদের জন্যও আমরা ডোজের ব্যবস্থা রাখব। আমাদের স্টাফ, নির্বাহী কমিটির জন্যও বরাদ্দ থাকবে।’
বিজ্ঞাপন
ভ্যাকসিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ডোজ বাইরে বিক্রিও করবে। তবে বাফুফের পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কাছ থেকে বিনামূল্যে ডোজ সংগ্রহ করে ফুটবল সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিতরণ করার। বাফুফে বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলেও তারা কিনে অধীনস্থদের বিনামূল্যেই সরবারহ করার ইচ্ছে রয়েছে।
শনিবার জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের উদ্বোধনে আসবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রীড়াঙ্গনে ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ব্যাখ্যা করার কথা রয়েছে।
এজেড/এটি/এনইউ