ফাইল ছবি

জাতীয় ফুটবল দলের বৃটিশ হেড কোচ জেমি ডে রাজধানীর এক হোটেলে আইসোলেশনে রয়েছেন। ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌছান। বৃটিশ নাগরিক হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিধি মোতাবেক ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে জেমি। মঙ্গলবার চলছে মাত্র ষষ্ঠ দিন। আরও আটদিন পর মুক্ত হবেন তিনি। 

হোটেলের এক রুমের মধ্যেই আবদ্ধ জেমি। হোটেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে তার দরজার সামনে খাবার সরবারহ করে। প্রয়োজনীয় সকল কাজই রুমের মধ্য থেকেই করতে হচ্ছে জেমিকে। আইসোলেশনের মুহূর্তগুলো সম্পর্কে জেমি বলেন, ‘দিনের পর দিন একা একা থাকা আসলেই খুব কষ্টকর। ১৪ দিন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’ 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ড শেষ। দ্বিতীয় রাউন্ড আজ শুরু। প্রিমিয়ার লিগ দেখে ও বিশ্লেষণ করেই সময় কাটছে তার, ‘খুব কাছেই স্টেডিয়াম। এরপরও যেতে পারি না। টিভিতেই খেলা দেখি, খেলা দেখে কম্পিউটারে কিছু বিশ্লেষণ করি। এভাবেই সময় কেটে যাচ্ছে।’

নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচের পর করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন জেমি। এরপর টানা ১৮ দিন একই কক্ষে ছিলেন বাংলাদেশের হেড কোচ। নেগেটিভ হয়ে দোহায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে কোচিং করাতে যান। কাতারেও বেশ বিধি নিষেধের মধ্যেই ছিলেন। দোহা থেকে বাংলাদেশে না ফিরে নিজ দেশ লন্ডনে যান। সেখানে গিয়েও এক প্রকার আটকা ছিলেন জেমি। লন্ডনে করোনার নতুন জিনের উদ্ভব হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল সর্বত্র। লন্ডনে গিয়েও বাড়ির বাইরে যেতে পারেননি খুব একটা। সব মিলিয়ে প্রায় দুই মাসের বেশি সময় আইসোলেশনের মধ্যেই রয়েছেন জেমি। প্রায় দুই মাস হলেও জেমির কাছে লাগছে বছর খানেক, ‘ঢাকা, দোহা,লন্ডন সব জায়গাতেই আমি প্রায় বদ্ধ অবস্থাতেই ছিলাম। ক’দিন পরই মুক্তি মিলছে।’  

নেতিবাচকের মধ্যেও কিছুটা ইতিবাচকতা পেয়েছেন জেমি, ‘লকডাউন স্ত্রী-সন্তানদের জন্য আর্শীবাদের মতোই। বাবাকে অনেক সময় কাছে পেয়েছে তারা।’ জেমির সহকারি আরেক বৃটিশ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস ঢাকায় পৌছান ৭ জানুয়ারি। স্টুয়ার্টের ১২তম দিন চলছে। ২২ জানুয়ারি থেকে তিনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় চলতে পারবেন। 

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সিরিজ চলছে। বাংলাদেশের নতুন ব্যাটিং কোচ স্টুয়ার্ট লুইসও বৃটিশ। বিশেষ বিবেচনায় চারদিন কোয়ারেন্টিনে থেকে তিনি বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে রয়েছেন। সেখানে বাফুফের বৃটিশ কোচরা এখনো কোয়ারেন্টিনে। এই প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ক্রিকেটের বিষয়টি তারা অবগত নন, হয়তো ক্রিকেট বোর্ড স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বা বিশেষ ব্যবস্থায় করেছে যেহেতু আন্তর্জাতিক সিরিজ চলছে। আমাদের আন্তর্জাতিক তেমন ব্যস্ততা নেই এখন। আমাদের কোচরা হোটেলে বসে ম্যাচ দেখছে। তারা নিয়মমাফিক ১৪ দিন পরই স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরবে।’

এজেড/এটি