বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল/বাফুফে

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের মিশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল। প্রথম ম্যাচে সাবিনাদের প্রতিপক্ষ জর্ডান। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় উজবেকিস্তানের বানিওদকর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। 

প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও জর্ডানের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ দল, ‘জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েরা তাদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। আশা করছি খুব ভালো একটা ম্যাচ দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী’-বলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। আগামীকাল খেলার আগে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়েছেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলনেতা জাকির হোসেন চৌধুরি। 

প্রস্তুতি ভালো হওয়ায় বাছাইপর্বেও ভালো কিছুর প্রত্যাশা বাংলাদেশ দলের। টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি ছিল না বলেই জানালেন মেয়েদের অভিজ্ঞ কোচ ছোটন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই মহামারীর সময়ে মেয়েদের প্রশিক্ষণের জন্য খেলার মাঠ ও আবাসনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত কভিড ১৯ প্রটোকল পালন করায় আমাদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সর্বক্ষণ মেয়েদের সকল সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করেছে বিধায় আমাদের এই প্রতিযোগিতায় আসার পূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অসুবিধা হয়নি।’

প্রতিযোগিতার দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষরা শক্তিধর। তবে তাদের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিতেই প্রস্তুতি নিয়েছে লাল-সবুজরা। এ প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘উজবেকিস্তান আসার পূর্বে আমরা নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছি। আমি বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ফুটবল দল ও ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আবারও অল নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশন কে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই দুটি ম্যাচ আয়োজন করার জন্য। এতে করে আমাদের মেয়েদের মাঠের ভুল ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।’

দলের অন্যতম ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকারও নিজেদের পিছিয়ে রাখছেন না, ‘এটা সত্য প্রতিপক্ষরা শারীরিকভাবে শক্তিধর। তবে আমরাও কোন অংশে পিছিয়ে নেই। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ওরা চেষ্টা করবে,আমরাও করবো। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছি। আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামবো। একজন স্ট্রাইকার হিসেবে আমার লক্ষ্য থাকবে গোল করার।’ 

এজেড/এনইউ