গোলের পর উচ্ছ্বসিত নেইমার-এমবাপে/ছবি: সংগৃহীত

পিএসজি - মঁপেলিয়েঁ
এমবাপে ৩৪, ৬৩
নেইমার ৬০
ইকার্দি ৬১

প্রথমার্ধে একগাদা গোলের সুযোগ নষ্ট। তবে নেইমাররা গোলের নেশায় মেতে উঠলেন দ্বিতীয়ার্ধে, তাতে পিএসজি মঁপেলিয়েঁকে হারাল ৪-০ গোলে। এর ফলে লিগের শীর্ষে জাঁকিয়ে বসে ফরাসি লিগ শিরোপাধারী পিএসজি শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে এগিয়ে গেল একধাপ।

নিজেদের মাঠে শুক্রবার রাতে শুরু থেকেই দাপটটা দেখিয়েছে পিএসজি। আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জির করা ক্রসে যদি ঠিকঠাক পা ছোঁয়াতে পারতেন নেইমার অথবা মাউরো ইকার্দি, তাহলে প্যারিসিয়ানরা এগিয়ে যেতে পারতো ১০ মিনিটেই।

তবে পিএসজির বড় জয়ের পথটা সুগম হয় ১৯ মিনিটে। শিরোপাধারীদের প্রতি-আক্রমণ রুখতে বিপদসীমার বাইরে এসে কিলিয়ান এমবাপেকে ফাউল করেন গোলরক্ষক হোনাস অমলিন, হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। পরে ভিএআর যাচাইয়ের পর সিদ্ধান্ত বদলে লাল কার্ড দেখান হয় মঁপেলিয়েঁ গোলরক্ষককে।

সফরকারীরা শুরু থেকেই ছিল কোনঠাসা, অমলিনের লাল কার্ডে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় তাদের জন্য। ৩৪ মিনিটে এর সুফল পায় পিএসজি। খেলা গড়ে দিতে খানিকটা নিচে নেমে এসেছিলেন নেইমার, মাঝমাঠ থেকে তার বাড়ান বল খুঁজে পায় বক্সের কাছাকাছি থাকা আনহেল ডি মারিয়াকে। তার কাছ থেকে পাওয়া বলেই বক্সে ঢুকে চিপ করে গোল পান কিলিয়ান এমবাপে। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। 

পিএসজি ব্যবধান বাড়াতে পারত মিনিট চারেক পরই। তবে মঁপেলিয়েঁর বদলি গোলরক্ষক দিমিত্রি বার্তদের নৈপুণ্যে সে যাত্রায় গোলবঞ্চিত থাকেন নেইমার। তবে ৬০ মিনিটে আর গোল থেকে ব্রাজিলীয় তারকাকে রুখতে পারলেন না দিমিত্রি। এমবাপের বাড়ানো বলে নেইমার ব্যবধান বাড়ান। 

প্রথমার্ধে মাঝমাঠের দখল থাকলেও গোলমুখে যেন খেই হারাচ্ছিল পিএসজি। ১১ শটের দুটি ছিল কেবল গোলমুখে। সেই পিএসজিই নেইমারের গোলটির পর হয়ে ওঠে ক্ষুরধার। 

৬১ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ওঠে পচেত্তিনোর শিষ্যরা। ডান পাশ থেকে আসা ক্রস দিক বদলে আসে মাউরো ইকার্দির পায়ে, সেটা দারুণ দক্ষতায় সফরকারীদের জালে জড়ান আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এর দুই মিনিট পর আবারও প্রতি আক্রমণে পিএসজি। নেইমার, ইকার্দি হয়ে শেষে এমবাপের দারুণ ফিনিশে চতুর্থ গোলটি পায় গেল বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালিস্টরা।

ব্যবধান আরও বাড়তেও পারতো। লেইভিন কুরজাওয়ার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফলে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পিএসজিকে। ২১ ম্যাচ থেকে দলটির সংগ্রহ ৪৫ পয়েন্ট। একটি করে ম্যাচ কম খেলা লিল ও লিওঁ যথাক্রমে ৪২ ও ৪০ পয়েন্ট অর্জন করে আছে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।

এনইউ