মার্শেইয়ের মাঠে এভাবেই পুলিশি প্রহরায় কর্নার নিতে হয়েছে নেইমারকে/এপি

পিএসজি-মার্শেইয়ের লড়াইটা ফরাসি ফুটবলে পরিচিত ‘ল্য ক্লাসিক’ নামে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এই লড়াই ইউরোপীয় গণ্ডি ছাপিয়ে বিশ্বে উত্তেজনা সৃষ্টি না করলেও ঘরোয়া ফুটবলে বেশ উত্তাপ ছড়ায়। কাল রাতে সেটাই টের পেলেন নেইমার। প্রতিপক্ষ সমর্থকরা বোতল ছুঁড়ে মারল তাকে। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হলো, এক পর্যায়ে পুলিশি প্রহরায় কর্নার নিতে হয়েছিল তাকে। 

মার্শেইয়ের মাঠে এর বাইরেও রাতটা ভালো কাটেনি নেইমারের। গোল পাননি তিনি, পাননি সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে কিংবা লিওনেল মেসিও। তাতেই পিএসজি বাধ্য হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। 

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষের ডেরায় ফরাসি জায়ান্টরা এ রাতে পাশে পায়নি সমর্থকদের, পাছে দুই সমর্থক গোষ্ঠীর মাঝে দাঙ্গা লেগে যায়! পিএসজি সমর্থকদের মার্শেইয়ের মাঠে আসতে না দিয়ে সেটা ঠেকানো গেছে বটে, তবে খেলোয়াড়রা রক্ষা পেলেন না তাতে। দুয়ো তো ছিলই, পুরো ম্যাচে বোতল, কাপ, আরও অনেক রকমের বর্জ্যও নেইমারদের দিকে ছুঁড়ে মেরেছে মার্শেই ভক্তরা।

ভাগ্যিস তখন পুলিশ ছিল। সঙ্গে ছিল স্বেচ্ছাসেবকদের বেড়ি, যা সমর্থকদের ছুঁড়ে মারা উটকো জিনিসগুলোকে মাঠে আসতে বাধা দেয়। তাদের সৃষ্টি করা বেষ্টনীতে থেকেই শেষমেশ কর্নার নিতে হয়েছে নেইমারকে।

এমন কিছু সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই জানতো। তাই তো প্রস্তুতিটাও ছিল তেমনই। পিএসজি সমর্থকদের মাঠে আসতে দেওয়া হয়নি। তবে মার্শেই ভক্তরাও সাধু সন্ন্যাসী নন, অঁজের বিপক্ষে গেল মাসেই তো গ্যালারিতে লেগে গিয়েছিল দাঙ্গা।

পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচেও তা হয়েছে। একজন সমর্থক তো বেষ্টনী ভেঙে মেসির কাছে দৌড়েই চলে যাচ্ছিলেন, কিন্তু শেষমেশ স্বেচ্ছাসেবকদের হস্তক্ষেপে তাকে আটকানো সম্ভব হয়।

এমন দাঙ্গার কারণেই হয়তো, মাঠের ফুটবলটাও ভালো হয়নি পিএসজির। বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেও পায়নি গোলের দেখা। তাই গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয়েছে পিএসজি মার্শেইয়ের এই ঐতিহ্যবাহী দ্বৈরথ। 

এই ড্রয়ের পরও অবশ্য কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর দল আছে লিগ ওয়ানের শীর্ষে। ১১ ম্যাচ থেকে ২৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। দুইয়ে থাকা লেঁস এখনই তাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়েছে। 

নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে অবশ্য মেসিরা সমর্থকদের পাশে পাচ্ছেন। আগামী ৩০ অক্টোবর নিজেদের মাঠে লিলের মুখোমুখি হবে দলটি।

এনইউ