দুই মিলানে চাপ বাড়াল জুভেন্তাস
জুভেন্তাসের হয়ে প্রথম গোলটি পেয়ে সতীর্থদের আলিঙ্গনে আবদ্ধ আর্থুর/ছবি: সংগৃহীত
জুভেন্তাস ২ ০ বোলোনিয়া
আর্থুর ১৫
ম্যাককেনি ৭১
লিগের শীর্ষে থাকা এসি মিলান ও ইন্টার আগের দিনই পয়েন্ট খুইয়েছিল। রোববার রাতে বোলোনিয়ার মাঠে ২-০ গোলের জয়ে সিরি’আর শীর্ষে থাকা দুই দলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্তাস।
বিজ্ঞাপন
লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানটা চলতি মৌসুমে মোটেও ভালো যাচ্ছে না জুভেন্তাসের। উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে চলা দলটি সিরি’আয় নিজেদের আগের ম্যাচে ইন্টারের কাছে হেরেই বসেছিল ২-০ ব্যবধানে। সে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে বোলোনিয়ার বিপক্ষে। দুই অর্ধের দুই গোল দলটিকে এনে দিয়েছে স্বস্তির এক জয়।
নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে রোববার স্থানীয় সময় দুপুরে শুরু থেকেই ম্যাচের আধিপত্য ছিল কোচ আন্দ্রেয়া পিরলোর দলের কাছে। তারই ফল ১৫ মিনিটে পায় জুভেন্তাস। আর্থুর মেলোর নিচু শট বোলোনিয়া রক্ষণে লেগে দিক বদলে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেয়, চলে যায় জালে।
বিজ্ঞাপন
মিনিট দশেক পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে বিয়েঙ্কোনেরিদের সামনে। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জোরাল শট রুখে দেন বোলোনিয়া গোলরক্ষক, ফ্রেদেরিকো বের্নাদেস্কির ফিরতি চেষ্টাও পা দিয়ে রুখে দেন তিনি। বোলোনিয়াও অবশ্য সুযোগ পেয়েছে দারুণ। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল করা তো দূরের কথা, জুভে গোলরক্ষক ভয়চেখ সজেস্নিকে ফেলতে পারেনি পরীক্ষাতেও। তবে জুভেন্তাস গোলরক্ষক পরীক্ষায় পড়লেন দ্বিতীয়ার্ধে, সেটাও সতীর্থ হুয়ান কুয়াদ্রাদোর ‘হেডারে’! প্রতিপক্ষের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে প্রায় নিজেদেরই জালে জড়িয়ে বসেছিলেন তিনি।
৭১ মিনিটে ওয়েস্টন ম্যাককেনির গোল ম্যাচের সব অনিশ্চয়তা দূর করে দেয়। যোগান আসে কিছুক্ষণ আগেই আত্মঘাতী গোল থেকে বেঁচে ফেরা কুয়াদ্রাদোর কাছ থেকে। তার করা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোলটি করেন জুভেন্তাসের আমেরিকান ফরোয়ার্ড ম্যাককেনি। শেষদিকে রোনালদোকে আরও একবার রুখেছেন বোলোনিয়া গোলরক্ষক। তাতে ব্যবধান আর বাড়েনি, ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জুভেন্তাস।
এই জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচ শেষে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে দলটি। একটি করে বেশি ম্যাচ খেলা দুই মিলানের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের পার্থক্যটা এখন যথাক্রমে ৬ আর ৪, নিজেদের হাতে থাকা এক ম্যাচ জিতে গেলে পার্থক্যটা দাঁড়াবে যথাক্রমে ৩ আর ১ এর; তখন যে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে চাপটা আরও বাড়বে এসি ও ইন্টার মিলানের, তা বলাই বাহুল্য।
এনইউ