ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে যতটুকু সাফল্য এর প্রায় পুরোটাই এসেছে নারী ফুটবলারদের হাত ধরে। করোনার জন্য সানজিদা-কৃষ্ণারা ক্যাম্পের বাইরে ছিলেন কয়েক মাস। কিছুদিন আগে আবার তাদের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে পরিবারের বাইরে থাকা মেয়েদের অভিভাবকদের সাথে একটি সৌজন্য সাক্ষাতের আয়োজন করেছে বাফুফে। সেই অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। 

সৌজন্য সাক্ষাতের বাইরে নারী ফুটবলের দুটি বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কাজী সালাউদ্দিনের আলোচনা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নারী দল নেই। কারণ দীর্ঘদিন জাতীয় নারী ফুটবল দলের ম্যাচ নেই। 

র‌্যাঙ্কিংয়ে না থাকা নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমরা অনুর্ধ্ব পর্যায়ে ভালো করছি। অনুর্ধ্ব ১৬ আর জাতীয় দলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। জাতীয় দলের খেলাও এমনিতে কম খেলছি। তাই র‌্যাঙ্কিংয়ে না থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’ 

র‌্যাঙ্কিংয়ে ফেরার জন্য ফেব্রুয়ারিতে সাবিনাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। করোনা সেই পরিকল্পনায় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলে জানান সালাউদ্দিন, ‘আমরা কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। করোনার মধ্যে পুরুষ দল পাঠাতে কিছুটা রাজি হলেও নারীদের ব্যাপারে অনেকেরই সাড়া কম। ভ্যাকসিন এসেছে, সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে আশা করি মাস দুয়েকের মধ্যে ফিফা প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা যাবে।’

সদ্য সমাপ্ত নারী ফুটবল লিগে কোনো প্রতিদ্বন্দীতাই হয়নি। তাই নারী ফুটবল লিগে পুল প্রথা করা নিয়ে প্রশ্ন ছিল বাফুফে সভাপতি কাছে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘আমরা চাই প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ লিগ হোক। এজন্য পুলের বিষয়টি আমাদের বিবেচনাধীন আছে।’

নারী ফুটবল দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের পুল প্রসঙ্গে বলেন, ‘নারী ফুটবলের মান উন্নয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ লিগ প্রয়োজন। পুলের ফুটবলাররা সমান সুযোগ সুবিধা পেলে সেক্ষেত্রে বিষয়টি কার্যকরী হতে পারে।’

পুরুষ ফুটবলে পুল প্রথায় অনেক ফুটবলাররা আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নারী ফুটবলে এই নিয়ম আসলে বাফুফে আর্থিক বিষয়টি কিভাবে নিশ্চিত করবে সেটাই দেখার বিষয়। 

এজেড/এমএইচ