ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১ থেকে ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। নবম বাংলাদেশ গেমস উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবনে গেমস উপলক্ষ্যে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি ডিসিপ্লিনের ভেন্যু নিয়ে আলোচনা করে। 

যেকোনো গেমসের মূল আকর্ষণ অ্যাথলেটিক্স। সেই অ্যাথলেটিক্স হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ছেঁড়া ট্র্যাকেই। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সদস্য ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু এমনটি জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন,‘আমাদের ট্র্যাক অনেক আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ। বিকেএসপি ছাড়া সেভাবে ট্র্যাক নেই আমাদের দেশে। বিকেএসপিতে আবাসনসহ আরও কিছু বিষয় জড়িত। অনেকটা বাধ্য হয়েই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করতে হচ্ছে।’

গেমসের আসরগুলোতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাইক্লিংও হয়ে থাকে। ট্র্যাকের বেহাল দশায় এবার সাইক্লিং হবে দুই ভেন্যুতে। সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহের উল আলম চৌধুরি বলেন, ‘আমরা রোড সাইক্লিং করব হাতিরঝিলে আর ট্র্যাক সাইক্লিং করব বিকেএসপিতে।’ 

সাইক্লিং ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়ে চলছে। অ্যাডহক কমিটি হলেও ইতোমধ্যে দুইটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে তারা। আরচ্যারি অনুষ্ঠিত হবে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ স্টেডিয়ামে, হ্যান্ডবল শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী স্টেডিয়ামে । আগামীকাল আরও কয়েকটি ডিসিপ্লিনের ভেন্যু ঠিক হবে। 

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের উপমহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনূর বলেন, ‘এখন প্রতিদিনই নানা কমিটির সভা হবে। আমরা বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, ভেন্যু নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করব।’
 
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে করোনা ভ্যাকসিন এসে পড়ছে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া গেমসের আগে করোনা পরীক্ষা হবে ক্রীড়াবিদ ও সংশ্লিষ্টদের। এই প্রসঙ্গে কোহিনূর বলেন, ‘আমাদের মেডিকেল কমিটি রয়েছে। তারা খুব শীঘ্রই সভা করবে। মেডিকেল কমিটি সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের একটি গাইডলাইন দেবে। এরপর আমরা স্টিয়ারিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেব।’

উল্লেখ্য, গত বছর ১-১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। করোনার জন্য গেমস অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়। মুজিববর্ষ বর্ধিত হওয়ায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গত বছরের সূচিতেই এই বছর আয়োজন করছে গেমস। 

এজেড/এমএইচ/এটি