ছবি : সংগৃহীত

দেশের তৃণমূলে প্রতিভা অন্বেষণ বা বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে বয়স লুকানো নিয়মিত বিষয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নতুন ডেভলপমেন্ট কমিটি প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি শুরু করছে ৩০ জানুয়ারি থেকে। প্রতিভা অন্বেষণ শুরুর আগে ডেভলপমেন্ট কমিটি এক সভা করে। সেই সভায় বয়সের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিই দেখাচ্ছে বাফুফে।

ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘১ জানুয়ারি ২০০৬ সালের পরে যাদের জন্ম তারাই এই অন্বেষণে থাকতে পারবে। বয়স যাচাইয়ের জন্য আমরা বিশেষ কমিটিও করেছি।’  

প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি জেলায় আমাদের ২-৩ জন কোচ থাকবে। কোচরা মেধাবী ফুটবলার সন্ধান করবেন। প্রতি জেলায় আমরা কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা বেধে দেইনি কোচদের। তাদের চোখে যারা প্রতিভাবান তাদের সবাই অর্ন্তভূক্ত হবেন।’ 

প্রতি জেলায় ট্রায়াল চলবে ২-৩ দিন ব্যাপী। জেলা থেকে বিভাগ, এরপর ঢাকায় হবে চূড়ান্ত বাছাই। এরপর কমলাপুর শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে আবাসিক ক্যাম্প। চূড়ান্ত ক্যাম্পে ফুটবলারদের সংখ্যা সম্পর্কে ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ঢাকায় শতাধিক ফুটবলার রাখতে চাই। এরপর সেখান থেকে চূড়ান্ত বাছাই করব।’
 
প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি অনুর্ধ্ব ১৫ নিয়ে শুরু করার কারণ ব্যাখ্যা করেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, ‘সামনে আমাদের সাফ ও এএফসির অ-১৬ এবং ১৭ পর্যায়ে কয়েকটি টুর্নামেন্ট আছে। সেগুলো সামনে রেখেই আমরা এই অন্বেষণ করব।’

প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে অনেক ফুটবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পৃক্ততা থাকবে। এদের করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের সভাপতি ভ্যাকসিন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করছে। আমরা কিছু ভ্যাকসিন নিশ্চিত করব। ভ্যাকসিন সংগ্রহের পর একটি নীতিমালার মাধ্যমে বন্টন করব। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে সেক্ষেত্রে আমাদের মেডিক্যাল কমিটি একটি গাইডলাইনও আমরা অনুসরণ করব।’

ডেভলপমেন্ট কমিটির সভায় সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইকবাল হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, রকিবুল ইসলাম সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

এজেড/এমএইচ