ছবি: সংগৃহীত

কিংবদন্তি পেলে কিংবা দিয়েগো ম্যারাডোনা এক সময়ে ফুটবল বিশ্ব রাঙিয়েছেন দারুণ ফুটবল-নৈপুন্যে। জায়গা করে নিয়েছেন ‘সর্বকালের সেরা কে?’ এ আলোচনায়। লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সে পরম্পরাটা তো ধরে রেখেছেনই, ব্যক্তিগত দ্বৈরথটা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রেখে সর্বকালের সেরার আলোচনাকে দিয়েছেন ভিন্ন মাত্রা। কেমন হতো যদি তারা সবাই একই দলে, একই ছাতার নিচে খেলতেন? সে চেষ্টাটাই করেছে ফ্রান্স ফুটবল। ব্যালন ডি’অরের সর্বকালের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন পেলে-ম্যারাডোনা, মেসি-রোনালদোদের সবাই।

তবে দলটা যেহেতু কেবলই ১১ জনের, স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়েছে কিছু বড় বড় নাম। তালিকায় জায়গা পাননি ইয়োহান ক্রুইফ, গ্যারিঞ্চা, রোনালদিনহো, জিনেদিন জিদান, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ইকার ক্যাসিয়াসদের মতো এক সময়ের সেরা খেলোয়াড়রা।

গত সোমবার ঘোষিত এ তালিকায় এক গোলরক্ষকের সঙ্গে রক্ষণভাগে তিন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেছে ফ্রান্স ফুটবল। আছেন চার মিডফিল্ডার ও তিন ফরোয়ার্ড।

গোলরক্ষক হিসেবে আছেন ব্যালন ডি’অর জেতা একমাত্র গোলরক্ষক লেভ ইয়াশিন। বিশ্বকাপ, ফিফা, আইএফএফএইচএস, ওয়ার্ল্ড সকারের গেলো শতাব্দীর সেরা এই গোলরক্ষকের নামে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার দেয়া হয় এখন।

সেই ইয়াশিনের সঙ্গে স্বপ্নের দলে ডিফেন্ডার হিসেবে আছেন জার্মান কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। খেলোয়াড় হিসেবে  সম্ভাব্য সব দলীয় সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি, ডিফেন্ডার হয়েও দুবার জিতেছিলেন  ব্যালন ডি’অরও। ‘ডার কাইজার’ এর সঙ্গী হিসেবে আছেন এসি মিলানের দুই কিংবদন্তি ডিফেন্ডার পাওলো মালদিনি ও কাফু।

৩-৪-৩ ফর্মেশনে মাঝমাঠে ‘ডাবল পিভোটে’ থেকে রক্ষণকে সাহায্য করবেন স্পেন ও বার্সেলোনা কিংবদন্তি জাভি, ও জার্মান বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার লোথার ম্যাতায়াস। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে আছেন সর্বকালের সেরা দুইজন; দিয়েগো ম্যারাডোনা ও পেলে।

আক্রমণভাগের ডান প্রান্তে থাকবেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি, বাঁয়ে পাঁচবারের বিজয়ী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে এ তালিকায় আছেন ব্রাজিলের হয়ে দুটো বিশ্বকাপ, একটি বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল ও একটি গোল্ডেন বুট জেতা কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড রোনাল্ডো নাজারিও। 

এনইউ