ছবি : সংগৃহীত

জেমকন খুলনায় তারকাদের ছড়াছড়ি ছিল, সে অনুযায়ী ছিল না পারফরম্যান্স। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শুরুতে ভুগতেও হয়েছিল তাদের। সাকিব আল হাসান-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো তারকারা নিজেদের মেলে ধরতে পারছিলেন না যেন। 

মাঝপথে খুলনার সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে অফ নিশ্চিত করে খুলনা। নিজেদের সব হিসাব-নিকাশ তারকারা মিটিয়ে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে। 

প্রথমে জহুরুল ইসলামের ফিফটির সঙ্গে সাকিব আল হাসান-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের সামনে ২১১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দেয় খুলনা। পরে বল হাতে লিটন দাস-সৌম্য সরকারদের দ্রুতই সাজঘরে ফিরিয়ে তাদের ফাইনাল খেলার পথটা আরও সহজ করে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

এরপর একে একে তুলে নেন চট্টগ্রামের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। ৩৭ বছর ৭০ দিন বয়সে এসে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারেরও দেখা পেয়েছেন মাশরাফি। দেশের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সবচেয়ে বেশি বয়সে পাঁচ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড।  তাতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে খুলনা।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা খুলনা জহুরুল ইসলাম ও জাকির হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে পায় ৭১ রান। জাকির ২২ বলে ১৬ রান করে আউট হলেও দলের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন জহুরুল। মোসাদ্দেকের বলে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ বলে ৮০ রান করেন তিনি। 

১২ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইমরুল কায়েসও। শরিফুলকে টানা তিন ছক্কা হাঁকান খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৯ বল থেকে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এদিন রানে ফেরার আভাস দেন সাকিব আল হাসানও ২ চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ২৮ রান করে মুস্তাফিজের বলে বোল্ট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। 

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে কিছুই যেন ঠিকঠাক হচ্ছিলো না চট্টগ্রামের। টুর্নামেন্ট জুড়ে তাদের দাপট দেখানোর মূলে ছিল লিটস দাস ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটি। সেটিই ব্যর্থ হয় খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে। 

মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই মাশরাফির ওভারে শামিম হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য। লিটনকে উইকেটে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যই মনে হচ্ছিলো শুরুতে। কিন্তু মাশরাফির স্লোয়ার বল বুঝতে না পেরে বোল্ট হয়ে সমাপ্তি ঘটে তার ১৩ বলে ২৪ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসের। 

এই দুইজনের বিদায়ের পর চট্টগ্রামকে ভরসা দেখাচ্ছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বল থেকে ৩১ রান করেন মাহমুদুল। মিঠুন ফিফটি তুলে আউট হন ৩৫ বলে ৫৩ রান করে। 

তারা আউট হওয়ার পর কার্যত শেষ হয়ে যায় চট্টগ্রামের জয়ের সম্ভাবনা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারের পুরোটা ব্যাটিং করতে পারলেও ১৬৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি খুলনা। ম্যাচ হারে ৪৭ রানে।

এমএইচ