সার্জিও আগুয়েরো বললে আপনার চোখের সামনে কি ভাসে? মেসির সবচেয়ে কাছের বন্ধু, আর্জেন্টিনা সোনালি প্রজন্মের একজন নাকি ম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে তার করা গোলের পর পিটার ড্রুরির সেই বিখ্যাত ধারাভাষ্য ‘আগুয়েরোওওওওও...’।  আপনার কল্পনায় যাই থাকুক, তিনি আর খেলার মাঠে থাকছেন না। এটাই হতে চলেছে বাস্তবতা। 

মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সব ধরনের ফুটবলকে বিদায় বলতে চলেছেন আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনা তারকা । তার এমন সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে কয়েকদিন আগেই হওয়া বুকের ব্যথা। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা আগুয়েরোর অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্প্যানিশ সাংবাদিক জেরার্ড রোমেরো। খবরটি জানিয়েছেন ফুটবলের বিশ্বস্ত সাংবাদিক ফ্যাব্রেসিও রোমানোও।

তারা বলছেন, ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে সবকিছু। হার্টের সমস্যা ধারণ করেছে জটিল আকার। ইতোমধ্যেই অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুয়েরোর বর্তমান ক্লাব বার্সেলোনাকেও। আগামী সপ্তাহে হতে যাওয়া সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু জানানো হবে বলে জানাচ্ছেন ফ্যাব্রেসিও রোমানো।

চলতি মৌসুমেই এক দশক কাটানোর পর ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়েন আগুয়েরো। যোগ দেন বার্সেলোনায়। ক্লাবটির হয়ে আলাভেজের বিপক্ষে খেলার সময়ই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তখন জানানো হয়, তিন মাসের জন্য ছিটকে গেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। এখন শেষ হয়ে গেল ক্যারিয়ারই।

আগুয়েরোকে সবসময়ই বিশেষভাবে স্মরণে রাখবেন ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরা। ২০১১ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর এখানে ১০ বছর কাটিয়েছেন তিনি। ইত্তেহাদের দর্শকদের উপহার দিয়েছেন দারুণ সব মুহূর্ত।

ক্লাবটির হয়ে ৩৯০টি ম্যাচ খেলে ২৬০ গোল করেছেন তিনি। জিতেছেন ১৫টি শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে আগুয়েরো খেলেছেন ১০১ টি ম্যাচ। করেছেন ৪১ গোল। কেবল সিটি কিংবা আর্জেন্টিনা নয়-তাকে আসলে মিস করবে পুরো ফুটবল বিশ্বই।

এমএইচ